
গাঁজার পুড়িয়ে নিজেদের কাছে রাখতো। সাধারন মানুষজনকে মাদকের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা ছিল ওদের পেশা। পরিচয় দিতো ক্রাইম তালাশের তারা বিখ্যাত সাংবাদিক। এমন একটি ঘটনা ঘটাতে গিয়ে অবশেষে কথিত দুই সাংবাদিক পুলিশের জালে ধরা পড়েছে। এরা হলো মো. রাজা (৪০) নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়ার ফুল মোহাম্মদের ছেলে। মো. ইবনে আলী সরকার (৩৫) একই উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের কালু মাহমুদের ছেলে। বুধবার (৯ এপ্রিল) পুলিশ আদালতের মাধ্যমে তাদের নীলফামারী জেলা কারাগারে প্রেরন করেছে।
এলাকাবাসী জানান, ওই দুই ভুয়া কথিত সাংবাদিক মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের নিজামের চৌপথী নামকস্থানে যায়। সেখানে ক্রাইম তালাশের সাংবাদিক পরিচয়ে বাজারের মুদি ব্যবসায়ী স্বপন আলীর দোকানে গিয়ে মাদক বিক্রির অভিযোগ তুলে। তাকে আটক করা হবে জানিয়ে আপোষে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিলে আটক করা হবে না। এ সময় ওই দোকানে বিভিন্ন পণ্য কিনতে আসা ক্রেতাদের ভিডিও ধারণ শুরু করে কথিত সাংবাদিক দুইজন। এতে ক্রেতাদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু করে তারা। পরে তারা (কথিত সাংবাদিক) স্বপন আলীর দোকান তল্লাশির দাবি করবে বলে দোকানে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাতে ব্যর্থ হন। এরপর দোকানের পাশে গ্রামের বকতিয়ার রহমান এর বাড়িতে পকেট থেকে গাঁজার বেশ কিছু পুড়িয়া ছুড়ে দিয়ে ওই ব্যক্তিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করতে থাকে। এতে বাজারের উত্তেজিত জনতা তাদেরকে আটক করে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ ওই দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে নিজামের চৌপথি বাজার, নতুন হাট, সিপাই বাজার, তোফায়েলের মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে আসছিল।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী দোকানদার স্বপন তাদের বিরুদ্ধে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবিসহ মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে আজ বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাজু