
ছবি: সংগৃহীত
আগামী পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার দৃশ্যপটে যুক্ত হতে যাচ্ছে এক অভিনব বার্তা—ফিলিস্তিনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ। এবারের শোভাযাত্রায় বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে অংশ নিচ্ছেন দুই শতাধিক সংগীতশিল্পী, যারা হাতে তুলে নেবেন ফিলিস্তিনের পতাকা এবং গাইবেন গাজার মুক্তি ও শান্তির পক্ষে সমর্থনসূচক গান।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা সেমিনার কক্ষে ‘চৈত্র সংক্রান্তি ও নববর্ষ ১৪৩২ এ বিশেষ কিছু আয়োজন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলা ব্যান্ড মিউজিশিয়ানস ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে এবারের বৈশাখী শোভাযাত্রা হতে যাচ্ছে ভিন্নমাত্রিক। মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন ২০০ জনের বেশি সংগীতশিল্পী, যারা গান ও বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে তুলে ধরবেন বিশ্বশান্তির বার্তা এবং গাজার মানুষের প্রতি সংহতি।
ফারুকী বলেন, “ফিলিস্তিনের জন্য গান এবং শোভাযাত্রা—এটা এবারের আয়োজনে খুব গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। আমি বাংলাদেশের রক মিউজিশিয়ানদের ধন্যবাদ জানাই। কারণ এ কাজ রক মিউজিশিয়ানদের ছাড়া সম্ভব না।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকার আশপাশের গিটারিস্টদের বলছি, আপনারা গিটার নিয়ে র্যালিতে যোগ দিন, সঙ্গে রাখুন ফিলিস্তিনের পতাকা। এই বার্তাটা দিতে হবে—আমরা শুধু নিজেদের আনন্দ নিয়ে ভাবি না, অন্যের কষ্টও আমাদের স্পর্শ করে।”
ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সদস্য শেখ মনিরুল আলম টিপু বলেন, “পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনে সাধারণ মানুষের ওপর যে বর্বরতা চালানো হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা চাই শান্তিময় পৃথিবী, সেটাই হবে আমাদের গানের মূল বার্তা।”
এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের নববর্ষ ও চৈত্র সংক্রান্তির আয়োজনে থাকছে দুই দিনব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যেখানে দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরাও অংশ নেবেন।
এই আয়োজন প্রমাণ করে, বাংলা নববর্ষ শুধু উৎসবের দিন নয়—এটি হয়ে উঠতে পারে বিশ্বমানবতার প্রতি ভালোবাসা ও প্রতিবাদের প্রতীকও।
আসিফ