
ছবি: সংগৃহীত
ওজন বৃদ্ধি করে অধিক দামে বিক্রির জন্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ছাগলের পেটে পানি ঢুকানোর সরঞ্জামসহ ৯ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলে গরু-ছাগলের বড় হাট চৌদ্দগ্রামের মিরশ্বানী বাজার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রেতা বিক্রেতারা এই বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে আসেন। কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে বর্তমানে আরও জমে উঠেছে বেচা-কেনা। গরুর পাশাপাশি ছাগল বেচাকেনা হয় পুরোদমে। বুধবার বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা ছাগলকে জোরপূর্বক নল দিয়ে পানি খাওয়ানোর সময় অভিযান পরিচালনা করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- মো. ইসমাইল হোসেন, হেদায়েত উল্লাহ, নুরুল আমিন, মহিবুল্লাহ, আবদুল লতিফ, মো. মাসুদ, জাকির হোসেন, সবুজ, শাহিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের উদ্দেশ্যে ছাগলগুলোর পেটে বিশেষ প্রক্রিয়ায় জোরপূর্বক পানি ঢুকিয়ে নিষ্ঠুর আচরণ করছে। এতে সাময়িক সময়ের জন্য ছাগল দেখতে সুন্দর ও মোটাতাজা দেখায়। কিন্তু ক্রেতা ছাগল ক্রয় করার এক থেকে তিন দিনের মধ্যে অধিকাংশ ছাগল মারা যায়। দীর্ঘদিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন গতকাল বুধবার অভিযান চালিয়ে ছাগলের পেটে জোরপূর্বক পানি ঢুকানোর সরঞ্জাম ও ৬৮টি ছাগলসহ ওই ৯ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাণি সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ-আল মামুন বলেন, অসৎ উপায়ে বোবা প্রাণিগুলোকে জোরপূর্বক নল দিয়ে খাওয়ানোর কারণে ওজন বেড়ে যাচ্ছে। বেশি লাভের উদ্দেশ্যে প্রাণিগুলোর সাথে নির্দয় আচরণ করছে। এটা প্রাণি সংরক্ষণ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন বলেন, ছাগলের পেটে জোরপূর্বক পানি ঢুকানো হচ্ছে- এমন তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আসিফ