
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের হরুপদিয়া গ্রামে এক বারো বছর বয়সী শিশু তার দাদার (পিতামহ) হাতে পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে হরুপদিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন শিশুর পরিবারে দুধ-শিরনি রান্না হয়েছিল। বাড়ির আঙিনায় অবস্থানরত দেলোয়ার মোল্লার স্ত্রীকে খাবার দেওয়ার জন্য শিশুটিকে পাঠায় তার মা। কিন্তু বৃদ্ধার অনুপস্থিতির সুযোগে দেলোয়ার মোল্লা কু-প্রস্তাব দিয়ে শিশুটিকে ঘরের ভেতর ডেকে নিয়ে যায় এবং দরজা বন্ধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়।
নির্যাতনের পর শিশুটিকে হুমকি দিয়ে কিছু বলতে নিষেধ করে সে। ভয়ে শিশুটি বিষয়টি গোপন রাখে।
দীর্ঘসময় মেয়েটি ঘরে না ফেরায় সন্দেহ জাগে তার মায়ের। বৃদ্ধ দেলোয়ার মোল্লার ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে এবং দরজার সামনে মেয়ের পাদুকা পড়ে থাকতে দেখে তার সন্দেহ আরও বাড়ে। স্বামীকে ডেকে এনে তারা দরজা খোলার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে অন্যান্য স্বজনদের সহায়তায় দরজা খোলা হলে শিশুটির উপর নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ পায়। তবে তখনই দেলোয়ার মোল্লা পালিয়ে যায়।
ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় কিছু সমাজপতি ২ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে চায়। তবে শিশুটির পরিবার রাজি না হয়ে পুলিশের সহায়তা নেয়।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, "নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।"
নুসরাত