
কুমিল্লার হোমনায় তিতাস নদীতে গোসল করতে নেমে ৯ বছরের শিশু আব্দুল্লাহ নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে বিকাল ৫ টার দিকে ঢাকা থেকে ডুবুরি দল এসে নিখোঁজ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে হোমনা লঞ্চঘাট তিতাস নদীতে এই নিখোঁজের ঘটনা ঘটে।নিখোঁজের পরই স্থানীয়দের চেষ্টা চলমান থাকে এর মধ্যে ডুবুরি টিম আসলে বিকাল ৫ টার সময় নিখোঁজ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজ আব্দুল্লাহ হোমনা পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী মো.সবুজ মিয়ার ছেলে। সে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, আব্দুল্লাহ তার সমবয়সী জুবায়েরের সাথে দুপুরে লঞ্চ ঘাটে গোসল করতে নদীতে নেমে উল্লাস করতে করতে পরক্ষণেই আবদুল্লাহ ও জুবায়ের পানির নিচে চলে যায় তখন পাশে থাকা সাব্বির জুবায়েরকে পাড়ে নিয়ে আসলেও আবদুল্লাহকে খুজে পায়নি। তাকে না দেখে তার সমবয়সীরা চিৎকার করলে আশপাশে গোসলরত অন্যান্যরাও খোজাখুজি শুরু করেন এবং হোমনা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনা স্থলে আসেন এবং নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত হন।
হোমনা ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সোলাইমান বলেন, দুপুরে আমরা খাবার খেতে বসেছি এমন সময় খবর পাই তিতাস নদী লঞ্চঘাটে গোসল করতে নেমে একটি শিশু নিখোঁজ হয়েছে। তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং চাঁদপুর ডুবুরি দলকে খবর দেই, তারা জানায় অন্যত্র আছেন, পরে ঢাকা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। ঢাকা থেকে ডুবুরি দল এসে বিকাল ৫ টায় নিখোঁজ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিখোঁজ আব্দুল্লাহর মা শিখা বলেন, আমাকে না জানিয়ে নদীতে গোসল করতে আসে কখন এসেছে আমি জানিনা, এই কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজের খবর শুনে শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ নদীর ঘাটে ভীড় করছেন।
এ বিষয়ে হোমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, পানিতে ডুবে শিশু নিখোঁজের বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রিফাত