
ছবি: জনকণ্ঠ
তিস্তা নদীর সীমান্ত এলাকা থেকে সুমাইয়া (৮) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝাড়শিঙ্গেশ্বর কালিগঞ্জ এলাকা থেকে বিজিবি ও বিএসএফের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। শিশুটি ওই উপজেলার পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের জেলে আলমগীর হোসেনের মেয়ে।
পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের প্যানেল ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শিশুটি সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকালে তার বাবার সাথে নদীতে মাছ ধরার সময় নদীতে ডুবে যায়। ওই দিন শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ওই এলাকাটি বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের তিস্তা নদীর নোম্যান্সল্যান্ড। ফলে বাংলাদেশের বিজিবি ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফের অনুমতিক্রমে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ডিমলা থানার আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপর দিকে তিস্তা নদীতে ডুবে গংগাচড়ায় মাহিম (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের মহিপুর এলাকার তিস্তা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। নিহত কিশোর মাহিম উপজেলার সদর ইউনিয়নের গংগাচড়া মধ্যপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। সে চেংমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিহতের বন্ধু রায়হান বলে, আমরা ১০ জন একসঙ্গে নদীর চরে ফুটবল খেলতে যাই। পরে আমরা কয়েকজন গোসল করতে পানিতে নামি। মাহিম সাঁতার জানত না। তাই তাকে আমরা নামতেও দিইনি। কিন্তু সবার অগোচরে সে পানিতে নামে। আমরা উঠে দেখি সে নেই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। আজ মঙ্গলবার লাশ ভেসে উঠলে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গংগাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল এমরান বলেন, পরিবারের প থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শহীদ