
ছবি: সংগৃহীত
জাটকা নিধন ঠেকাতে অভিযান অব্যাহত থাকলেও লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বাজারগুলো জাটকা ইলিশে সয়লাব হয়ে গেছে। প্রকাশ্যেই সমস্বরে ক্রেতাদের ডাকা হচ্ছে। এসব বাজারে প্রশাসনের লোকজনের নজরে পড়লেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। বাধা-নিষেধ ছাড়াই ঝাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
উপজেলায় হাজির হাট, নবীগঞ্জ, মতির হাট, লুধুয়া, মাতাব্বর হাট সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র হাজির হাট বাজারে প্রকাশ্যে ঝাটকা বিক্রি করার স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ দেখাযায়।
মাঝে মধ্যে কমলনগর উপজেলা মৎস্য দপ্তর নদীতে অভিযান পরিচালনা করলেও কমলনগরে হাত বাড়ালেই নিষিদ্ধ জাটকা পাওয়া যায় যে কোনো বাজারে। খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দরে জাটকা বিক্রি করছেন। এছাড়া নিলামেও পাইকারী বিক্রি হচ্ছে জাটকা।
হাজির হাট বাজারের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিক্রেতা জানান, বাজারে এখন বড় ইলিশ পাওয়া না গেলেও ছোট ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ক্রেতারাও বেশি কেনেন। কারণ কম দামে পাচ্ছেন। পাইকারী কিনে ৫শ থেকে ৭শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন। তাছাড়া প্রতিদিনই পিক-আপের মাধ্যমে জাটকা ইলিশ যাচ্ছে পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায়।
হাজির হাট বাজার ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন, জাটকা সংরক্ষণে প্রশাসনের অভিযান আইওয়াশ মাত্র। তারা মুখে মুখে অভিযান চালায়। আমি প্রতি দিন হাজির হাট মাছ বাজারে জাটকা বিক্রি করতে দেখি।
কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার তূর্য সাহা বলেন, আমরা নদীতে বেশিভাগ অভিযান পরিচালনা করে আসছি। হাট বাজারগুলোতে ও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
কমলনগর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাহাত উজ জামান বলেন, নদীতে ২৪ ঘন্টায় অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাট বাজারে ও অভিযান পরিচালনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, জাটকা সংরক্ষণে সোমবার (১ মার্চ) থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরসহ ছয়টি জেলার পাঁচটি ইলিশ অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
ফারুক