ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

কুয়াকাটায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ, লাখ টাকার তুলা বাণিজ্য

মেজবাহ উদ্দিন মাননু, কলাপাড়া, পটুয়াখালী 

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ৮ এপ্রিল ২০২৫

কুয়াকাটায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আগুন দেওয়ার অভিযোগ, লাখ টাকার তুলা বাণিজ্য

ছবি: সংগৃহীত

কুয়াকাটায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তুলা গাছের তুলা সংগ্রহের জন্য আগুন দেওয়া হয় বলে স্থানীয়দের দাবি। এতে বেশ কিছু তুলা গাছের নিচের অংশ পুড়ে গেছে। গাছের গোড়ার চারপাশের লতাপাতা জাতীয় বহু গাছপালা পুড়ে গেছে। অতি সম্প্রতি কুয়াকাটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মম্বিপাড়া ও তেত্রিশ কানি এলাকায় গিয়ে বনাঞল নিধনের এমন দৃশ্য দেখা গেছে। 

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কুয়াকাটা বিটের আওতায় অন্তত দেড়শ তুলাগাছ রয়েছে। প্রতি বছর এ গাছের  তুলা বনাঞ্চলের বিট অফিসারের যোগাসাজশে বিক্রি করা হয়। একেকটি গাছের তুলা সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। ওখানকার মম্বিপাড়া বেড়িবাঁধের দুই পাশের মানুষ এ তুলা কিনে নেন।

প্রতি বছর এভাবে তুলা বিক্রি করে প্রায় লাখ টাকার বাণিজ্য চলে আসছে। আর এই তুলা সংগ্রহের সুবিধার জন্য গাছের গোড়ার দিকের জঙ্গলে আগুন দেওয়া হয়। এতে তুলা গাছের আশপাশের এরিয়া পরিষ্কার থাকে। নিচে গাছ থেকে পড়া তুলা সংগ্রহে সুবিধা হয়। 

নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে একাধিক ব্যক্তি জানান, কুয়াকাটা বিট অফিসার প্রতি বছর এ কাজটি করে আসছেন। এর সঙ্গে মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তার যোগাযোগ আছে বলে অনেকে দাবি করেন।  বে মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ তার বিষয়টি জানা ছিল না বলে দাবি করে জানান, তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিট অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বিট অফিসার মো. সিরাজ কে বহুবার মেবাইল করা হয়েছে। তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। 

এভাবে কুয়াকাটা সৈকতঘেঁষা সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সর্বনাশ করায় পরিবেশ কর্মীরা উৎকন্ঠা প্রকাশ করেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমরা কলাপাড়াবাসীর সভাপতি নজরুল ইসলাম এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এভাবে উপকূল রক্ষাকবচ বনাঞ্চল উজাড় হলে মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা চরম ঝুঁকি হয়ে পড়বে।

মায়মুনা

×