
ছবি : সংগৃহীত
ভোলার ধনী ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ঈদের আগেই চাল বিতরণের কথা থাকলেও স্থানীয়দের অনিয়মের অভিযোগের কারণে কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের মুখে ঈদের পর চাল বিতরণ পুনরায় শুরু হলেও, জেলেদের অভিযোগ, তাদের প্রাপ্য চালের বড় একটি অংশ তারা পাচ্ছে না।
জেলেদের জন্য দুই মাসের নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ৮০ কেজি চাল বরাদ্দ থাকলেও, বাস্তবে তারা মাত্র ৩০ থেকে ৩৭ কেজি পাচ্ছেন। ভোলার সাত ইউনিয়নের জেলেরা জানান, "আমরা নিষেধাজ্ঞা মেনে ডাঙ্গায় বসে ছিলাম, রমজান ও ঈদে অর্ধাহারে-অনাহারে কাটিয়েছি। কিন্তু আমাদের প্রাপ্য চালও পাচ্ছি না।"
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছু রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় অবৈধ ব্যবসায়ীরা ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে যোগসাজশ করে চাল আত্মসাৎ করছে। মনপুরায় চাল নিয়ে জামাত-শিবির ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, ভোলার দৌলতখানে এক বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে ১৮৩ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। দক্ষিণ দিকের ইউনিয়নগুলোতেও চাল জব্দের খবর মিলেছে।
ভেলুমিয়া ইউনিয়নে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, "কিছু অনিয়মের তথ্য পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন না ঘটে।" অন্যদিকে, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দাবি করেছেন, "ট্যাক অফিসার ও মৎস্য কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে চাল বিতরণ সঠিকভাবে হচ্ছে।"
সূত্র:https://youtu.be/djO5M0499W0?si=xs8BCcy5DlUUHDgQ
আঁখি