
বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসেরহাটের সরকারি গুচ্ছগ্রামে জরাজীর্ণ ঘর
দীর্ঘদিন মেরামত না করায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন কালকিনি উপজেলার গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা। ঝড়ে অধিকাংশ ঘরের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় পথিলিনের সঙ্গে ইট দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ তারা। একটু বৃষ্টিতেই ভিজে যায় বিছানাসহ আসবাবপত্র আর শিক্ষার্থীদের বইখাতা। এতে করে বাড়ে ভোগান্তি আর কষ্ট। যদিও বরাবরের মতো নতুন ঘর নির্মাণের আশ^াস উপজেলা প্রশাসনের। সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
কথা হয় পূর্ব আলীপুর গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, মাথাগোঁজার ঠাঁই না থাকায় ১৪ বছর ধরে বসবাস করছেন কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসেরহাটের সরকারি গুচ্ছগ্রামে। ঝড়ো বাতাসে ৪ বছর আগে উড়ে গেছে তার ঘরের চালা। পলিথিন আর ইট দিয়ে বৃষ্টির পানি আটকানোর চেষ্টা করলেও ভিজে যায় বিছানাসহ ঘরের আসবাবপত্র। পরিবারে ৭ সদস্য নিয়ে এখন চরম ঝুঁকিতে তিনি।
তবে একই অবস্থা আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাসরত অধিকাংশ পরিবারের। এখানকার বাসিন্দাদের কেউ দিনমজুর, শ্রমিক আবার কেউ ভ্যানচালক। নিজের ঘরবাড়ি না থাকায় সরকারি এই গুচ্ছগ্রামে বসবাস তাদের। কিন্তু ঘরগুলো জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বাড়ছে আতঙ্ক। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে শীঘ্রই মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ।
জানা যায়, কালকিনির খাসেরহাটের এই গুচ্ছগ্রামটি ২০০৪ সালে নির্মাণ করা হয়। এখানকার ২৪টি ব্যারাকে ২৪০টি ঘর রয়েছে। বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ঘর রেখে অন্যত্র চলে গেছেন অনেক বাসিন্দা। তাদের অভিযোগ, শুধু আশ^াসের বাণীতেই আটকে আছে গুচ্ছগ্রামের ঘর সংস্কার কার্যক্রম। গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা তাসলিমা বেগম বলেন, শুধু বারবার আশ^াস পাওয়া যায়। কিন্তু এর সমাধান হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, এরইমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ ঘরের তালিকা প্রস্তুত করেছে। বিষয়টি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রকল্প অনুমোদন হলে শীঘ্রই নতুন ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।