ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

ইসলামিস্টদের কর্মসূচীর সাথে ভাঙচুরের কোনো সম্পর্ক নাই: আসিফ আদনান

রিজভী আহম্মেদ রিজোয়ান, নওগাঁ

প্রকাশিত: ০০:৪৩, ৮ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামিস্টদের কর্মসূচীর সাথে ভাঙচুরের কোনো সম্পর্ক নাই: আসিফ আদনান

দেশজুড়ে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) এসব বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু এলাকায় ইসরায়েলি পণ্যের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব কর্মকাণ্ড ইসলামপন্থী কর্মসূচির অংশ ছিল না বলে জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামী লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট আসিফ আদনান।

আসিফ আদনান তার ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “যায়োনিস্টদের সমর্থন করে এমন প্রতিষ্ঠানের পণ্য বর্জন এখন সময়ের দাবি। বিশ্বজুড়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই বয়কট আন্দোলন চলছে। বাংলাদেশেও এখন গোছানো, লক্ষ্যভিত্তিক বয়কট কর্মসূচি শুরু করা দরকার।”

তবে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, বয়কট ও ভাঙচুর—এই দুটি পন্থা একে অপরের পরিপন্থী। “কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোক-পেপসি বিক্রি করছে, তাই সেখানে গিয়ে জোরজবরদস্তি করা, হুমকি দেওয়া কিংবা বলপ্রয়োগ করা সঠিক নয়। একইভাবে কোনো আন্তর্জাতিক কোম্পানির দেশীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিতে হামলাও যুক্তিসঙ্গত নয়,” বলেন তিনি।

আজকের বিক্ষোভের ছত্রছায়ায় যেসব ভাঙচুর বা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে, তার দায় ইসলামপন্থীদের ওপর চাপানোকে তিনি ‘মুখস্থ গীত’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত যে কয়টা ভিডিও দেখেছি, তাতে স্পষ্ট—এইসব ঘটনায় জড়িতরা সাধারণ ছাত্র-জনতা কিংবা কিছু সুযোগসন্ধানী মানুষ। তারা ইসলামী পোশাকেও ছিল না। বাস্তবতা হলো, আমাদের সমাজে এমন মানুষ সব সময়ই ছিল এবং থাকবে।”

আসিফ আদনান মনে করেন, এধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে সমাজের রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। “সড়ক দুর্ঘটনার পর আহতদের ব্যাগ বা গহনা চুরি যেমন ঘটে, তেমনি এই আন্দোলনেও কিছু ব্যক্তি সুযোগ নেয়। কিন্তু তাতে পুরো আন্দোলনকে দোষারোপ করা যুক্তিযুক্ত নয়।”

তিনি আরও বলেন, “নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে ইসলামিস্টদের ওপর দোষ চাপানো নিচু মানের গ্রাম্য রাজনীতি ছাড়া কিছু নয়। বাংলাদেশের তথাকথিত সেক্যুলারদের এই ভিলেজ পলিটিক্স থেকে বের হয়ে আসা উচিত।”

সমগ্র বিবৃতিতে তিনি শান্তিপূর্ণ ও সচেতন নাগরিক আন্দোলনের পক্ষে কথা বলেন এবং জনসচেতনতার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী সমাধান খুঁজে নেওয়ার আহ্বান জানান।

এম.কে.

×