ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

টাকার জন্য হত্যা, নেশার টানে বন্ধুর রক্ত ঝরাল দুই বন্ধু

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ০০:১২, ৮ এপ্রিল ২০২৫

টাকার জন্য হত্যা, নেশার টানে বন্ধুর রক্ত ঝরাল দুই বন্ধু

মাদক সেবনের টাকা সংগ্রহের জন্য দুই বন্ধু মিলে পরিকল্পিতভাবে তাদের অপর বন্ধু হাসান প্যাদাকে হত্যা করে ডোবার কচুরিপানার মধ্যে লাশ গোপন করেছিলো। ক্লুলেস এ মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী সাকিব ও মুন্নাকে গ্রেপ্তারসহ হত্যার কাজে ব্যবহৃত মালামাল ও মোবাইল ফোন উদ্ধারের মাধ্যমে হাসান হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

নগরীর এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির সিকদার জানিয়েছেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলার গ্রেপ্তারকৃতরা হলো জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের বাসিন্দা হারুন সরদারের ছেলে সাকিব সরদার (২০) ও নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল সড়কের ভাড়াটিয়া চানমিয়া হাওলাদারের ছেলে মুন্না হাওলাদার (২১)। 

হত্যার শিকার হাসান প্যাদা (৩০) বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশার বকসির চর লাকুটিয়া এলাকার বাসিন্দা খোকন প্যাদার ছেলে।

ওসি জাকির সিকদার বলেন, গত ৫ এপ্রিল বেলা বারোটার দিকে নগরীর বাঘিয়া এলাকার একটি কচুরিপানা ভর্তি ডোবা থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানার এসআই মহিউদ্দিন আজাদ বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া মরদেহটি হাসান প্যাদার বলে তার স্ত্রী ও মা শনাক্ত করেন।

এরপর গোয়েন্দা সূত্র ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হাসান প্যাদার লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে সাকিব ও মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরবর্তীতে তাদের দেখানো স্থান থেকে হত্যায় ব্যবহৃত প্যান্টের বেল্ট, হাসানের জুতা ও মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যানুযায়ী হাসান বিসিক এলাকার একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতেন। গত ২ এপ্রিল সে (হাসান) বেতন পেয়েছে। তাই মাদক সেবনের টাকা সংগ্রহের জন্য তার টাকা ও মোবাইল সেট নেওয়ার জন্য হত্যার পরিকল্পনা করে সাকিব ও মুন্না। 

সেই অনুযায়ী ওইদিন রাতে হাসানকে তার বন্ধু সাকিব ও মুন্না ডেকে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তার (হাসান) কাছে টাকা চাইলে হাসান টাকা নেই বলে জানায়। পরবর্তীতে পকেটে হাত দেওয়ায় হাসান ক্ষিপ্ত হলে সাকিব ও মুন্না মুখ চেপে ধরে কোমরের বেল্ট খুলে হাসানকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ ডোবায় ফেলে দেয়।

ওসি জাকির সিকদার আরও জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সোমবার শেষকার্যদিবসে আদালতের বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরবর্তীতে বিচারকের নির্দেশে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

রাজু

×