
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় মেসার্স দীপ্তী ডাইং কারখানার নির্মাণাধীন ইটিপি প্ল্যান্টের দেয়াল ধ্বসে আশরাফুল ইসলাম (৪০) নামে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে। সোমবার বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার রাত পৌনে দশটায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আবুল বাশার।
নিহত শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার দক্ষিণ আইচা গ্রামের সাত্তার সরদারের ছেলে। বর্তমানে তারা দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার জাকির হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া। তিনি মেসার্স দীপ্তী ডাইং কারখানার মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।
এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন - মেসার্স দীপ্তী ডাইং কারখানার মেশিন অপারেটর হৃদয় (১৮), সোহেল (৩৫) এবং মেকানিক হেলপার রাকিব হোসেন (১৫)।
এদিকে, নিহত আশরাফুলের ভগ্নিপতি মোস্তফা কামাল জানান, সোমবার ভোরে ঈদের ছুটি শেষে গ্রামের বাড়ি ভোলা থেকে তার শ্যালক আশরাফুলসহ সবাই নারায়ণগঞ্জের ভাড়া বাড়িতে আসে। একই দিন তারা তাদের কর্মস্থল দীপ্তী ডাইং কারখানায় কাজে যোগদান করে।
এ সময় মোস্তফা আরও জানান, ছুটি শেষ হলেও কারখানা পুরোপুরি চালু না হওয়ায় এবং নির্মাণ শ্রমিক সংকট থাকায় ইটিপি নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে সকালে তাদেরকে কাজে লাগায় কারখানা মালিক কর্তৃপক্ষ। বিকেলে কাজ করার সময় তাদের ওপর দেয়াল ধ্বসে পড়ে।
এ সময় আশরাফুল, রাকিব ও সোহেল দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে। হৃদয় নামে আরেক শ্রমিক আহত হলেও সেখান থেকে নিজেই উঠে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে পাগলা ফায়ার স্টেশনের একটি দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত চারজনকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আশরাফুলকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আশরাফুলের ৭ম শ্রেণী এবং ২য় শ্রেণী পড়ুয়া দুটি মেয়ে রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আবুল বাশার জানান, বিকেলে দীপ্তী ডাইং কারখানার একজন শ্রমিককে মৃত অবস্থায় ও আহত অবস্থায় তিনজনকে তাদের এখানে নিয়ে আসা হয়। বাকি তিনজনকে আমরা ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি।
এম.কে.