
ছবিঃ সংগৃহীত
আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যুবলীগ নেতার স্থাপনা নির্মাণ করায় চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী হেলাল আকন। তিনি মহিপুর থানা পুলিশের সহায়তা চেয়েও দখল কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পারছেন না। এখন প্রতিকারে তিনি প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
হেলাল আকন জানান, তিনি লতাচাপলী মৌজার এস.এ. ৯৬৪ খতিয়ানের ৩৮ শতক জমি খন্দকার আলী আজম গংদের কাছ থেকে ক্রয় করে ভোগদখলে নিয়েছেন। এ নিয়ে বিরোধ থাকায় আদালতের দ্বারস্থ হন। কলাপাড়া সহকারী জজ আদালত গত মার্চ মাসে জমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে যুবলীগ নেতা কাদের ফরাজি ও খোকন ফরাজি স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন হেলাল আকন।
কুয়াকাটা পৌর এলাকায় মহাসড়কের কুয়াকাটা ফিলিং স্টেশনের পেছনে এভাবে জোর করে স্থাপনা তোলার কাজ করায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন হেলাল আকন। তিনি জানান, বিষয়টি মহিপুর থানায় জানালে কিছুদিন কাজ বন্ধ করা হয়। কিন্তু পরে আবার দিনে-রাতে সমানে চলছে নির্মাণ কাজ। সর্বশেষ রবিবার তিনি আদালতকে বিষয়টি অবগত করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত কাদের ফরাজি জানান, হেলাল আকন ওই জমির মালিক নন। তিনি যার কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন, সেই মালিক জমি অতিরিক্ত বিক্রি করেছেন। এছাড়া আদালত তার (কাদের ফরাজি) ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেননি বলেও জানান। তিনি দাবি করেন, তিনি কখনো যুবলীগের রাজনীতি করেননি কিংবা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।
মহিপুর থানার ওসি মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেছেন। আদালতের নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য এবং আদালতের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত মানার জন্য উভয় পক্ষকে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মারিয়া