
ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম অগ্রপথিক, আলেমে দ্বীন, জাতীয় দৈনিক নয়া দিগন্ত-এর জয়পুরহাট প্রতিনিধি এবংবহু প্রতিষ্ঠানের প্রভাবশালী সংগঠক হাফেজ মাওলানা ড. রেজাউল করিম খান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রবিবার দিবাগত রাত ২টায় বগুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাকস্থলীর অপারেশনের সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ড. রেজাউল করিম খান ছিলেন দারুস সুফফা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা, বুজুর্গধামা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের বগুড়া (অখণ্ড) ও জয়পুরহাট জেলার সাবেক সভাপতি। এছাড়াও তিনি জয়পুরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমীর এবং জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দুই জেলার ধর্মপ্রাণ জনতা, সহকর্মী সাংবাদিক ও আলেমসমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একদিন আগেই তিনি বগুড়ার টিটু মিলনায়তনে একটি প্রীতি সমাবেশে অংশ নিয়ে সবার সঙ্গে প্রাণবন্ত সময় কাটান। অথচ রাতারাতি নিথর, নীরব হয়ে গেলেন এই পরোপকারী মানুষটি।
রমজান মাসে খতম তারাবীহ পড়ানো ছিল তাঁর দীর্ঘদিনের আমল। কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা। মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি একটি হৃদয়বিদারক স্ট্যাটাস দেন, যেখানে লেখেন: "অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলাম। সুস্থতার জন্য দোয়া চাই। হতে পারে আজই আমার জীবনের শেষ দিন... হয়ত মৃত্যুর দূত প্রস্তুত। সকলের কাছে ক্ষমা চাই, ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ তার এই গুনাহগারকে যেন ক্ষমা করে দেন, তার দীনের উপর মৃত্যু দেন। আমীন।" এই লেখাটি যেন তাঁর মৃত্যুর পূর্বাভাস হয়ে দেখা দিলো।
আজ (৭ এপ্রিল) সকালে তাঁর মাদরাসায় প্রথম জানাজা নামাজ হয়। এরপর বাদ জোহর মরহুমের নিজ গ্রাম বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার নারহট্ট গ্রামে জানাজার নামাজে বিভিন্ন স্তরের মানুষ, আলেম-ওলামা ও শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
রাজু