ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১

কালকিনিতে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস

মো. জাফরুল হাসান, কালকিনি

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ৭ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৩:৫৯, ৭ এপ্রিল ২০২৫

কালকিনিতে আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস

ছবি: জনকণ্ঠ

দীর্ঘদিন মেরামত না করায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আশ্রায়ন প্রকল্পের সরকারি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে ঝড়ে অধিকাংশ ঘরের টিনের চালা উড়ে যাওয়ায় পথিলিনের সাথে ইট দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ তারা। তবে একটু বৃষ্টিতেই ভিজে যায় বিছানাসহ আসবাবপত্র আর শিক্ষার্থীদের বইখাতা। এতে করে বাড়ে ভোগান্তি আর কষ্ট। যদিও বরাবরের মতো নতুন ঘর নির্মানের আশ্বাস উপজেলা প্রশাসনের। আজ সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র। 


সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় পূর্ব আলীপুর গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, মাথাগোজার ঠাই না থাকায় ১৪ বছর ধরে বসবাস করছেন কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের খাসেরহাটের সরকারি গুচ্ছগ্রামে। ঝড়োবাতাসে ৪ বছর আগে উড়ে গেছে তার বসবাসের ঘরের চালা। পলিথিন আর ইট দিয়ে বৃষ্টির পানি আটকানোর চেষ্টা করলেও ভিজে যায় বিছানাসহ ঘরের আসবাবপত্র। পরিবারে ৭ সদস্য নিয়ে এখন চরম ঝুঁকিতে তিনি। তবে একই অবস্থা আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরে বসবাসরত অধিকাংশ পরিবারের। এখানকার বাসিন্দাদের কেউ দিনমজুর, শ্রমিক আবার কেউ ভ্যানচালক। নিজের ঘরবাড়ি না থাকায় সরকারি এই গুচ্ছগ্রামে বসবাস তাদের। কিন্তু ঘরগুলো জড়াজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বাড়ছে আতঙ্ক। ক্ষতিগ্রস্থ ঘরের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে শীঘ্রই মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ।


জানা যায়, কালকিনির খাসেরহাটের এই গুচ্ছগ্রামটি ২০০৪ সালে নির্মাণ করা হয়। এখানকার ২৪টি ব্যারাকে ২৪০টি ঘর রয়েছে। বসবাসের অনুপযোগি হওয়ায় বসতঘর রেখে অন্যত্র চলে গেছেন অনেক বাসিন্দা। তাদের অভিযোগ, শুধু আশ্বাসের বানীতেই আটকে আছে গুচ্ছগ্রামের নতুন ঘর নির্মানের কার্যক্রম।


গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা তাসলিমা বেগম বলেন, শুধু বার বার আশ্বাস পাওয়া যায়। কিন্তু এর সমাধান হচ্ছে না। আমরা কেউই এখন এখানে বসবাস করতে পারছি না। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করায় নিরাপত্তাহীনতায় এখনকার বাসিন্দারা সবাই। আমার এর প্রতিকার চাই।


আরেক বাসিন্দা জান্নাত আরা বেগম বলেন, ঝড় হলেই ভয় বাড়ে কখন মাথার উপরে চালা ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। রাতের বেলা চোরের আতঙ্কও রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে আমার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সরকারের কাছে আকুল আবেদন দ্রুত আমাদের এই হতদরিদ্রদের জন্য নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হোক।


এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, এরইমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ ঘরের তালিকা প্রস্তুত করেছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রনালয় ও সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রকল্প অনুমোদন হলে শীঘ্রই নতুন ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
 

শিহাব

×