
ছবি : সংগৃহীত
ইসরাইলের নির্মম সামরিক আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর চলমান নৃশংসতার প্রতিবাদে দেশের জনপ্রিয় ইউটিউবার ও সামাজিক মাধ্যম ব্যক্তিত্ব সালমান মুক্তাদির ফিলিস্তিনি যুবকের ডাকা ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি সফলের আহব্বানে সাড়া দিয়ে তার ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, নিজের মেয়েকে স্কুলে না পাঠিয়ে তিনি ও তার স্ত্রী দিসা ইসলামবদলে তাকে ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন।
মুক্তাদির পোস্টে বলা হয়, "আজ আমাদের মেয়ে স্কুলের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। কিন্তু আমরা তার স্কুল বাতিল করে দিলাম। পরিবর্তে দিশা (তার স্ত্রী) তার সাথে বসে আলোচনা করলেন আজ পৃথিবীতে কী ঘটছে। তাকে ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবি দেখালেন এবং সেখানে কী ঘটছে তা বুঝিয়ে বললেন।"
এই আলোচনার পর তার মেয়ে আমারা জানায়, সে এই কথোপকথন থেকে অনেক কিছু শিখেছে এবং বিষয়টি সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী।
মুক্তাদির স্পষ্ট করে বলেন, "এর মানে এই নয় যে যেসব বাবা-মা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়েছেন তারা কিছু ভুল করেছেন। কিন্তু আমি শুধু এই বিষয়টিতে জোর দিতে চাই যে, শিক্ষা শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।"
তিনি সকল অভিভাবককে পরামর্শ দেন, "আজ স্কুল থেকে ফেরার পর, যদি সম্ভব হয় তাদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলুন এবং আজকের আন্দোলনে তাদেরও অংশ করুন। তারা তাদের নিজস্ব উপায়েও অংশ নিতে পারে।"
তার পোস্টের শেষাংশে মুক্তাদি একটি গভীর বার্তা দেন, "যদি আজ আমরা আমাদের সন্তানদের সহানুভূতি শিখাতে না পারি এবং মানুষ হতে না শিখাই, তাহলে আগামীকাল যখন বিশ্ব ভুলে যাবে মানুষ হওয়ার অর্থ কী, তারা ভালোভাবে বড় হবে না। আর আমরা ইতিমধ্যেই দেখতে পাচ্ছি যে এখন মানুষ হওয়াটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে দয়া ও মানবিক বোধ দান করুন।"
এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেক ব্যবহারকারী মুক্তাদির এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি সমর্থন জানাতে নিজেদের সন্তানদের সচেতন করার অঙ্গীকার করেছেন।
আঁখি