
বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীর নিমদী লঞ্চ ঘাট পয়েন্টটি এখন পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কেবল ঘুরতে আসা নয়, এখানে পর্যটকরা গোসল করতেও আসেন।
তেঁতুলিয়া নদীর মিঠা পানিতে তারা ডুবসাঁতার দেন। একসময় এই তেঁতুলিয়া নদীর একপাড় থেকে অপর পাড় দেখা যেতে না। এখন নদীটি যৌবনহারা হয়ে যাচ্ছে। এই বিশাল প্রস্থরের নদীটির মধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে ১১টি চর পরেছে।
তাই নদীর পাশ ছোট হয়ে গেছে। এইসব চর মিলিয়ে একটি ইউনিয়ন করা হয়েছে। নাম রাখা হয়েছে চন্দ্রদ্বীপ। একেবারে তেঁতুলিয়া নদীর মাঝে এই ইউনিয়নটির অবস্থান। প্রায় ২০ হাজার লোক বাসবাস করে এই ইউনিয়নে।
ট্রলার বা ইঞ্জিলচালিত খেয়া নৌকায় নদী পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে আসতে হয়। শীতকালে নদীটি শান্ত থাকলেও বর্ষার সময় যৌবন ফিরে পায় নদীটি। তখন যৌবনের দাপটে এপার ওপার ভেঙ্গে চলে। নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় শত শত বাড়ি-ঘর ও নানা ধরণের স্থাপনা।
তেঁতুলিয়া নদীর নিমদি, শৌলা ও মঠবাড়িয়া পয়েন্টে দাঁড়িয়ে মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। নদীর পূর্বপাড়ে সারি সারি মহিষের পাল দেখা যায়। খোলা চরে মহিষগুলো বিচরণ করে। আবার সন্ধ্যার আগেই মহিষগুলো ঘরে ফিরিয়ে নেয়া হয়। শত শত নৌকা নিয়ে মাছ ধরে জেলেরা। মৃদু ঢেউয়ের সাথে মাছ ধরার নৌকাগুলো দুলতে থাকে। দেখতে ভালোই লাগে।
বাউফলে কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড তাপদাহ চলছে। এই তাপদাহের মধ্যে শরীর শীতল করতে অনেকেই তেঁতুলিয়া নদীর মিঠা পানিতে গোসল করতে আসেন। এক সাথে ৮-১০টি বাইকে করে ২০-২২ জন তরুণরা চলে যান নিমদি লঞ্চঘাট পয়েন্টে গোসল করতে। কেউ ডুবসাঁতার দেন। আবার কেউ জলকেলি খেলেন। এরপর গোসল শেষে বাসায় ফিরে আসেন।
এ বিষয়টি দারুন ভাবে উপভোগ করেন তেঁতুলিয়া নদীর পড়ের বসতির মানুষগুলো। এই নদীটি তাদের কাছে চিরচেনা। নদীর পানি গায়ে মেখে তারা বড় হয়েছেন। আর তারাই যখন দেখেন এই নদীর পানি শরীর শীতল করতে শহর থেকে মানুষ ছুটে আসে। তখন তাদের কাছে বিষয়টি উপভোগ করার মতই।
রাজু