
কর্মস্থলের সুবাদে দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবে থেকেও বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় দায়ের হওয়া ছিনতাই মামলার আসামি হয়েছেন আপন দুই সহদর। বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
অবশেষে বিদেশে থাকা দুই সহদরের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য বাদি ও তার লোকজনে প্রবাসীর পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাকির হোসেন শিকদার বলেন, যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের হতে পারে। তবে মামলার তদন্ত শেষে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের আইনানুযায়ী অব্যাহতি দেওয়া হবে। ওসি আরও জানান, চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্রমতে, গত ২৭ মার্চ দুপুরে নগরীর সোনা মিয়ার পোল এলাকায় গাড়ি পার্কিং নিয়ে মোটরসাইকেল চালক আমিনুল মৃধা ও ইজিবাইক চালক ইমন হাওলাদারের বাগবিতন্ডা হয়। সেই ঘটনায় নগরীর রায়পাশা-কড়াপুর এলাকার আবুল বাশারের স্ত্রী ইজিবাইকের মালিক মাহামুদা বেগম ঘটনার দিনই এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় মোটরসাইকেল চালক আমিনুল ও তার চার ভাইকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে রেজাউল করিম ও রাজিবুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে কর্মস্থলের সুবাদে সৌদি আরবে রয়েছেন। অপর দুইজন হুমায়ুন মৃধা ও নজরুল মৃধা ঘটনার সময় নগরীতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকলেও তাদের মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, চালক ইমন তার ইজিবাইকে যাত্রী নিয়ে সোনা মিয়ার পোল অতিক্রমকালে মামলার প্রধান আসামি আমিনুল তার গতিরোধ করে। এরপর সব আসামিরা যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করলে ইমন তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বলেন।
এসময় আসামিরা ইমনকে লাঠিসোটা নিয়ে মারধর করে। তখন ইমনকে রক্ষায় তার স্ত্রী শিরিন আক্তার এগিয়ে আসলে তাকেও মারধরসহ শ্লীলতাহানী করা হয়। এসময় হামলাকারীরা ইমনকে হত্যার হুমকি দিয়ে ইজিবাইক ভাঙচুর করায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রবাসীদের আসামি করা ও নাম বাদ দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে মামলার বাদি মাহামুদা বেগমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজু