ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

‘বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’ এর নবগঠিত কমিটির ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ২৩:৩১, ৬ এপ্রিল ২০২৫

‘বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’ এর নবগঠিত কমিটির ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত

ছবিঃ সংগৃহীত

ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে আজ রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর বারোটায় বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশন এর নবগঠিত কমিটির আয়োজনে অধ্যাপক আব্দুল হান্নান এর সভাপতিত্বে মিরপুরস্থ বিপিএ ভবনে একটি ঈদ পরবর্তী পুনর্মিলনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে নবগঠিত বিপিএ এর সম্মানিত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, মহাসচিব ডাঃ ইয়ামিন শাহরিয়ার চৌধুরী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান রাজধানীর বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে আগত সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসকবৃন্দের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আগত চিকিৎসকবৃন্দ ফুল দিয়ে নবগঠিত কমিটির সবাইকে বরণ করে নেন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসকবৃন্দ বিদ্যমান শিশু-স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার, পদোন্নতি, সুপার নিউমারারি ও নিয়মিত পদসৃজন ও ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিকমানের মাল্টিডিসিপ্লিনারি সরকারি শিশু ইনস্টিটিউট তৈরি ও দেশের সকল বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপিত শিশু হাসপাতালসমূহে চিকিৎসকসহ জনবল নিয়োগের দাবি জানান। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিপিএ এর গঠনতন্ত্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অনলাইন ভোটিং সিস্টেম চালু করার জোর দাবি তোলেন। অন্যান্য উন্নত দেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্ঞানচর্চা বিকশিত করার লক্ষ্যে অচিরেই বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও জার্নাল এবং ওয়েবসাইট আধুনিকায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জোরালো দাবি পেশ করা হয়। 

সভায় বিপিএ এর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের নেতৃত্বে শুধু সরকারি শিশু বিশেষজ্ঞ নয় বরং বেসরকারি শিশু বিশেষজ্ঞদেরও বঞ্চনা ও বৈষম্যের নিরসনে প্রয়োজনে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো অকারণে ইচ্ছেমত যাতে কোন বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসক ছাঁটাই করতে না পারে এবং আর যাতে কোন চিকিৎসক কর্মস্থলে লাঞ্ছিত না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখার অঙ্গীকার করেন। 

তিনি আরো বলেন, আমরা কেউ নেতা হতে আসিনি, আমরা শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞ শিশু চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্ব ও অধিকার আদায় করতে এসেছি।

ঈদ পুনর্মিলনী সভায় উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিপিএ মহাসচিব ডাঃ ইয়ামিন শাহরিয়ার চৌধুরী বলেন, বিপিএ শুধু শিশু বিশেষজ্ঞদের পদোন্নতির জন্য কাজ করেন নাই, বরং বিপিএ ও ওজিএসবি এর হাত ধরেই দেশে একটি বিরাট সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের জন্য সুপারনিউমারারি (৭৭৫০টি) পদ বাস্তবায়নের পথে। তিনি বিগত চার বছর বিপিএ এর কোন ওয়েবসাইট হালনাগাদ না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। আগের অনির্বাচিত বিপিএ শিশু স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য কোন কাজ করেন নাই বলে অভিযোগ করেন। সরকারি পদোন্নতির দাবি আদায়ে পাশে থাকায় তিনি সকল শিশু বিশেষজ্ঞদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে বিপিএ এর ধারাবাহিক কার্যক্রম শুরু করার ও দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বৈজ্ঞানিক সেমিনার আয়োজনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিপিএ এর গঠনতন্ত্রের কালো আইন বাতিল ও অনলাইন ভোটিংসহ প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচনের আয়োজনের কথা বলেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন অধিকার আদায়ে কাজ করলে সকলের সমর্থনে আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসা সম্ভব। 

বিপিএ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হান্নান বলেন, আমি দেশের প্রথম নির্বাচিত বিপিএ সভাপতি। বিপিএ এর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে আমি এগিয়ে এসেছি এবং আপনাদের পাশে আছি। তিনি বলেন, শিশু হাসপাতাল ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত থেকে বিপিএ কে মুক্ত করতে হবে, বিপিএ হতে হবে সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল। পুরোনো ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিপিএ কে আর কুক্ষিগত করে রাখা যাবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বর্তমান কমিটির হাত ধরেই বিপিএ তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন। 

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ডা: মো: শফিকুল ইসলাম, ডা: আঈনুল ইসলাম খান, ডা: মো: মনির হোসেন, অধ্যাপক খয়বর আলী, অধ্যাপক আবদুর রউফ, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, ডা: রকিবুল ইসলাম খান, ডা: আব্দুর রউফ,  ডা: এএসএম. মাহমুদুজ্জামান, ডা: মুস্তাব শিরা মৌ প্রমুখ।

ইমরান

×