ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ৮ যুব সংগঠনের বিবৃতি

প্রকাশিত: ২২:২৮, ৬ এপ্রিল ২০২৫

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ৮ যুব সংগঠনের বিবৃতি

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসন ও গণহত্যার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করা আটটি (৮) সামাজিক যুব সংগঠন।

রোববার (৬ এপ্রিল) প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে গাজায় চলমান সহিংসতাকে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করে, সংগঠনগুলো বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলো হলো: ‘সঞ্জীবন যুব সংস্থা’ (যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত), ‘শিখরী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ (ময়মনসিংহ), ‘দ্য স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ (ত্রিশাল, ময়মনসিংহ), ‘জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার’ (ফুলবাড়িয়া, ময়মনসিংহ), ‘রাণীগঞ্জ পাঠাগার’ (ত্রিশাল, ময়মনসিংহ), ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়স্থ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি’, ‘সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক নেটওয়ার্ক ডায়ালগ (সিএসডিএন)’, এবং ‘এশিয়ান স্পোর্টিং ক্লাব’ (ত্রিশাল, ময়মনসিংহ)।

বিবৃতিতে বলা হয়, “সর্বজনবিদিত যে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বরোচিত হামলায় প্রতিদিন অসংখ্য নিরীহ নারী, শিশু ও বেসামরিক মানুষ নিহত এবং আহত হচ্ছেন—যা বিশ্ব বিবেককে স্তব্ধ করে দিয়েছে। শুধুমাত্র গত এক বছরে গাজায় শহীদ হয়েছেন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ—এটি নিঃসন্দেহে ইতিহাসের ভয়াবহতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি দৃষ্টান্ত।”

মূল বক্তব্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরা হয়।

প্রথমত, বাংলাদেশ সরকার যেন অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিষয়টি ওআইসি-তে জোরালোভাবে উত্থাপন করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এর নিন্দা জানায়।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে ইসরায়েলি সব পণ্যের বয়কটের জন্য জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয় যাতে তারা গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় হন এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

এছাড়াও, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ শীর্ষক বিশ্বব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে সংগঠনগুলো জানায় যে, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে তারা স্ব স্ব প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম এক দিনের জন্য স্থগিত রাখবে।

বিবৃতির শেষাংশে সংগঠনগুলো মানবতার এই কঠিন সময়ে সকল বিবেকবান মানুষকে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে এবং সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

নুসরাত

×