
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের দুই নেতার মধ্যে হাতাহাতির জেরে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান কাউসার ও ছাত্রশিবির নেতা ইয়াছিন আরাফাত ইমনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির পর রাতেই শিবির ও জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মী ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রোববার বিকেলে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি রায়পুর-ঢাকা মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করলে সাময়িক যানজটের সৃষ্টি হয়।
ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এডভোকেট সাইফুল ইসলাম দিপু বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব ছিল, সড়ক অবরোধ ও ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি মেনে নেওয়া হবে না।”
ছাত্রদল নেতা কাউসার বলেন, “আমার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি আলোচনায় মিটতে পারত। কিন্তু যেভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় সড়ক অবরোধ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, তা দুঃখজনক।”
অন্যদিকে জামায়াত নেতা আব্দুল হান্নান বলেন, “বিএনপির আশ্বাসে আমরা অবরোধ তুলে নিই। তবে ককটেল বিস্ফোরণের পেছনে কে ছিল, তা আমরা জানি না।”
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি কায়সার হামিদ জানান, এ বিষয়ে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নুসরাত