ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

বন্ধ হচ্ছে না চেল্লাখালী নদীর বালু লুট, হুমকিতে বাসিন্দারা

সংবাদদাতা, নালিতাবাড়ী, শেরপুর

প্রকাশিত: ২১:২৯, ৬ এপ্রিল ২০২৫

বন্ধ হচ্ছে না চেল্লাখালী নদীর বালু লুট, হুমকিতে বাসিন্দারা

পাহাড়ি কন্যা চেল্লাখালী নদীর পাড় কেটে গভীর গর্ত করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি কন্যা চেল্লাখালী নদীর পাড় কেটে গভীর গর্ত করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। কোনোক্রমেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা যাচ্ছে না। ফলে হুমকিতে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ওসব বাড়িঘর বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা। বালু খেকোদের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এদিকে, নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যেই চেল্লাখালী নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ড্রেজার মেশিন ও বালু উত্তোলনের বিভিন্ন সরঞ্জাম ধ্বংস করছেন। এমনকি অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না অবৈধ বালু উত্তোলন। 
জানা গেছে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যে থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি খর¯্রােতা চেল্লাখালী নদীর কিছু অংশ চলতি বছর ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু মূল নদীতে বালু না থাকায় নদীর তীর কেটে ২০/৩০ ফুট গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করছেন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী। এতে উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমারী বাজার এলাকার জামে মসজিদের পশ্চিমপাড়ের বাতকুচি মৌজার বাতকুচি সাবেক ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন গ্রামের কমপক্ষে ১০/১২টি পরিবারের বসতবাড়ি নদী ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ওই গ্রামের আয়নাল হক, নুর আলী, আবদুল খালেক, আবদুল মালেক, আবদুল করিম, ফরিদ মিয়া, ফারুক মিয়া, জহুরা বেগম, নুর মোহাম্মদ, মোতালেব, আবদুল কাদির ও ফরহাদের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওই গ্রামের ভুক্তভোগী আয়নাল হক বলেন, আমি দরিদ্র অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ। আমার বাড়ির পাশে মিনি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর তীর ভেঙে প্রায় ২০/৩০ ফুট গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করছে ব্যবসায়ীরা।

এতে আমার বসতবাড়িসহ কমপক্ষে ১৩টি পরিবারের বসতঘর নদীগর্ভে চলে যেতে বসেছে। বালু উত্তোলনকারীরা কোনো বাধাই মানছে না। তারা আমাদের উল্টো হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

এসব অভিযানে ড্রেজার মেশিন অকার্যকর করা হচ্ছে। পাশাপাশি জড়িতদের গ্রেপ্তার করে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

×