ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

হিজাবফোবিয়ার প্রতিকার চেয়ে ড. ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি

রিজভী আহম্মেদ রিজোয়ান, নওগাঁ

প্রকাশিত: ২০:০৯, ৬ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ২০:১২, ৬ এপ্রিল ২০২৫

হিজাবফোবিয়ার প্রতিকার চেয়ে ড. ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বাংলাদেশে বিদ্যমান কাঠামোগত ইসলাম বিদ্বেষ ও হিজাবফোবিয়ার প্রতিকার চেয়ে খোলা চিঠি দিয়েছেন, শিক্ষক, গবেষক, লেখক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন।

রোববার (৬ এপ্রিল ২০২৫) সোশ্যাল মিডিয়াতে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক এবং বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনের একটি চিঠি আলোচনায় আসে। 

ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেনের চিঠিটি নিম্নরূপ:

আমার মেয়ের ভয়েস প্রফেসর ইউনূসকে পৌঁছে দিচ্ছি। সে নারী হিসেবে কাঠামোগত ইসলামফোবিয়ার শিকার।

আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকে হিজাব পরিধান করে। সিঙ্গাপুরে তার জন্ম। আজ সে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ছবি তুলতে যায়। আইডির জন্য ছবি তোলার সময় হিজাব খুলে কান বের করতে বাধ্য করা হয়। এটা সে মেনে নিতে পারছে না। এই অপমানজনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কায় আমার মেয়ে শনিবার রাত থেকে টেনশনে ছিল। সে প্রতিবাদ করেছে, তবে উপস্থিত কর্মচারীরা জানায় তাদের কিছু করার নেই, এটি সরকারের নিয়ম।

২০১২ সালে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর আমার স্ত্রীকে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে হিজাব খুলতে বলায় তিনি প্রতিবাদ করে আইডি কার্ড না করেই চলে আসেন। বাধ্য হয়ে ৮ বছর পর আমার স্ত্রী আইডি কার্ড করান। বর্তমানে বাংলাদেশে আইডি কার্ড ছাড়া কারো অস্তিত্বই স্বীকৃত হয় না। আমার স্ত্রী সিঙ্গাপুরের পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট ছিলেন। প্রবাসে কখনও এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়নি।

২০০৭ সালে কেয়ারটেকার সরকার মেয়েদের হিজাব খুলে শনাক্তকরণের কথা বলে এই নিয়ম চালু করে। যারা এই পলিসি তৈরি করেছেন, তাদের মধ্যে ইসলামবিরোধী লোকেরা ছিলেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পরও কেন হিজাব খুলে কান বের করতে হবে? এটি ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিম নারীদের টার্গেট করে করা হয়েছে। এই কাঠামোগত ইসলামফোবিয়ার ইস্যু নিয়ে আমিসহ অনেকে প্রতিবাদ করেছি, কিন্তু আগের সরকার তা কর্ণপাত করেনি। ৯২% মুসলিমের দেশে ইসলাম প্র্যাকটিসিং নারীদের অবমাননা করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয়ভাবে! 

প্রফেসর ইউনূসকে এই বিষয়টি সুরাহা করতে অনুরোধ করছি, কারণ তিনি নারীভিত্তিক ক্ষুদ্র ঋণের কনসেপ্টের ওপর ভিত্তি করে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি সব সময় নারীদের কথা বলেন, সরকার প্রধান হয়ে নারীর সম্মানের অবমানার বিষয়টি আশা করি এড়িয়ে যাবেন না। আমার মেয়ের পক্ষ থেকে ড. মোহাম্মাদ সরোয়ার হোসেন, শিক্ষক, গবেষক, লেখক।

ইমরান

×