ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

নিখোঁজ অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার 

বিপ্লব ঘোষ, দোহার-নবাবগঞ্জ, ঢাকা

প্রকাশিত: ১৯:২১, ৬ এপ্রিল ২০২৫

নিখোঁজ অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার 

ছবি: জনকণ্ঠ

নিখোঁজের পাঁচদিন পর শেখ শাহআলম (৬৫) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃতদেহ উদ্ধর করে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। 

রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুল এলাকার রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শেখ শাহআলম ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বড় বাহ্রা পশ্চিম গ্রামের মৃত শেখ হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার সকালে  সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের খারশুল এলাকার প্রধান সড়কের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা স্থানীয় শেখরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে  সুরতহাল প্রতিবেদন করে লাশ থানায় নিয়ে যায়। এর আগে গত ২ এপ্রিল সকালে অটোরিকশা নিয়ে নবাবগঞ্জের বড় বাহ্রার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শাহআলম। পরিবারের সদস্যরা সন্ধান না পেয়ে পরদিন নবাবগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি  করেন। 

শেখরনগর তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক তাইজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে চালককে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে খারশুল এলাকায় ফেলে রেখে যায়। দুই এপ্রিল থেকে অটোরিকশা চালক শাহ আলম নিখোঁজ ছিলেন।

এদিকে, রবিবার দুপুরে নিহত অটোরিকশা চালকের বাড়িতে গেলে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতীর্ন হয়। নিহতের স্ত্রী, সন্তানদের কান্নার গ্রামের পরিবেশ নিস্তব্ধ হয়ে পড়ে। প্রতিবেশিরা ভীড় জমান শান্তনা দিতে। কেউ কেউ নিহত ব্যক্তি খুব ভালো মানুষ ছিলেন বলে জানান। এমন ভালো মানুষের এমন পরিণতি মানতে পারছেন না অনেক এলাকাবাসী।

স্বজনরা জানান, লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পড়নের পোশাক দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। লাশ উদ্ধার হওয়ার আগেও ঐ এলাকায় তারা খোঁজ করেছেন বলেও জানান স্বজনরা।

নিহতের স্ত্রী জাহানারা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে জানান, বাড়ির রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী আননেস আর কালুর সাথে ঝামেলা চলছিল। তারাই স্বামী শাহআলমকে খুন করেছে। এ হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করেন তিনি।

নিহতের মেয়ে লাকি জানান, গত ১৫ রোজায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা এনজিওর ঋণ তুলে আটো রিক্সা কিনেছিলেন। বাবা প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরতেন। ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাহ্রা ব্রীজের কাছে বাবাকে  দেখেছেন পরিচিত কয়েকজন। বাবাকে এলাকার কোন পরিচিতরা ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করে গুম করার চেষ্টার দাবী করেন তিনি। 

এবিষয়ে জানতে প্রতিবেশী আননেস ও কালুর বাড়িতে গেলে ঘরের দরজায় তালা ঝুলতে দেখা যায়। বাড়িতেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

শহীদ

×