
রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন জোসনা খাতুন (৩০) নামের এক নারী। দাবি না মানলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। রবিবার সকাল থেকে প্রেমিক নাজমুলের বাড়ির দরজার পাশে অবস্থান নিচ্ছেন জোসনা।
প্রেমিক নাজমুল হক উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের তালপট্রি গ্রামের মোতালেব হোসেন মতোর ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন।
অনশনরত জোসনা খাতুন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার আবদুস সামাদের মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি শুরু করেন। তার এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
ভুক্তভোগী জোসনা জানান, গাজীপুরের পোশাক কারখানায় চাকরি করার সময় প্রায় এক বছর আগে নাজমুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ শুরু হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তিনি অভিযোগ করেন, নাজমুল তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। পরে বিয়ের কথা বললে গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীর বানেশ্বরে নিয়ে আসেন। সেখানে একটি বাসায় তারা একসঙ্গে রাত কাটান। এরপর জোসনার কাছে থাকা টাকা নিয়ে বানেশ্বর বাজারে কাজী ডেকে বিয়ে করবে বলে কথা দিয়ে পালিয়ে যান নাজমুল।
নাজমুলের বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করে জোসনা সেখানে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করেন, নাজমুলের পরিবারের সদস্যরা তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। জোসনা বলেন, "আমার দাবি না মানলে এখানেই আত্মহত্যা করবো।"
সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি প্রেমিকের বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন।
এ বিষয়ে ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজেনা বিবি জানান, "নাজমুলের বাড়িতে এক নারী অনশন করছেন—এমন খবর পেয়ে আমরা দুইজন গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। স্থানীয় মাতব্বররা বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।"
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দারুল হুদা বলেন, "ঘটনাটি এখনো আমাদের জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
নুসরাত