
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় হানিকুইন জাতের আনারসের ফলন হয়েছে। তবে আনারসের আগাম ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও দাম না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন চাষীরা।
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় হানিকুইন জাতের আনারসের ফলন হয়েছে। তবে আনারসের আগাম ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও দাম না পাওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন চাষীরা। এখন খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকার বিশাল বিশাল বাগানের আনারস পাকতে শুরু করেছে । রোজাকে সামনে রেখে এই বাগান গুলোতে লক্ষ লক্ষ আনারস উৎপাদন করা হয়ে ছিল।তবে রোজায় তেমন ক্রেতা না থাকায় এই আনারস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানী করা সম্ভব হয়নি ।
খাগড়াছড়ি জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে আনারসের জন্য সবচেয়ে বেশী আবাদ হয় খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মহালছড়ি ও গুইমারা উপজেলা । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বার চাষীরা লাভবান হয়েছে বেশি। আনারসের চারা তুলে তা প্রস্তুত রেখে প্রায় ১ মাসের চেয়ে বেশি সময় লেগে যায় জমি ঠিক ঠাক করে আনারস চাষের উপযোগী করে তুলতে। তার পরে সারি সারি করে পাহাড়ের বুকে লাইন ধরে রোপণ করতে হয় হানি কুইন জাতের আনারস। জ্যৈষ্ঠ মাস আনারসের মধু মাস হলেও বর্তমানে খাগড়াছড়িতে কৃষি বিভাগের পরামশর্ মতে বিশেষ পদ্ধতিতে হরমোন ব্যবহারের মাধ্যমে সারা বছরই উৎপাদিত হচ্ছে উচ্চ ফলন শীল আগাম আনারস হানিকুইন।এক-একটি আনারস উৎপাদনে তাদের প্রায় ৫-৭ টাকা খরচ হয় এবং প্রতিটি আনারস সাইজ অনুসারে ১০-১৫ টাকা শুরু করে বড় আনারস প্রতিটি ২০-২৫ টাকা দামেও বিক্রি হয়। স্থানীয় চাষীরা জানান খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় হানিকুইন জাতের আনারসের আগাম ফলনে কৃষকের মুখে হাসিফুটলেও দাম না পাওয়ায় তারা হতাশা ব্যক্ত করেছেন।
অপর দিকে ব্যবসায়ীরা জানান এ বার খাগড়াছড়িতে হানিকুইন জাতের আনারস ফলন ভালো হয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকার কারণে দাম পাওয়া যাচ্ছে না ।তারপরও বাগানে ফল পেকে যাওয়ায় নিয়ে যেতে হচ্ছে। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, মোহাম্মদ বাছিরুল আলম জানান, পাহাড়ে জুম চাষের পরিবর্তে বিকল্প চাষ হিসেবে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এ বছর জেলায় ২০০জন আনারস চাষীকে সাড়ে ৪ লাখ আনারসের চারা বিতরণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। প্রত্যেক কৃষক পেয়েছে ২,২৫০টি করে আনারসের চারা । তিনি আরো বলেন, এ বছর খাগড়াছড়িতে ১৬ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে হানি কুইন জাতের আনারস চাষ হয়েছে এবং উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হঢেছে ৪১ হাজার মেট্রিকটন। লক্ষ্য মাত্রার অধিক ফলন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।
রাজু