
ছবি: সংগৃহীত
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ বিভাগের সংরক্ষিত অফিস থেকে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এ চুরির ঘটনা ঘিরে হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও স্বচ্ছতা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ঘটনার তিনদিন পর, শনিবার (৫ এপ্রিল)। ছিলিমপুর মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনন্সপেক্টর হারুনুর রশিদ জানান, হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ অফিসের গ্রিল কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে, তবে সেই অংশ দিয়ে কাউকে প্রবেশ করা সম্ভব নয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২ এপ্রিল (বুধবার) দ্বিতীয় তলার হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে চুরির ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ অফিসে এসে পিয়ন এনামুল হকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। প্রথমে প্রধান হিসাবরক্ষক মামুনুর রশিদ ১০ হাজার টাকা চুরির কথা জানান, তবে পরে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় দেড় লাখ টাকায়।
চুরির পরিমাণ নিয়ে বিভ্রান্তি থাকায় শুরু থেকেই বিষয়টি ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। হাসপাতালের একাধিক কর্মী জানান, বিভিন্ন সময় এভাবে অর্থ তছরুপের একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যা পূর্বেও ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, বিগত ফ্যাসিস্ট আমল থেকে কর্মরত বর্তমান উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদের ‘তেলেসমাতি’তেই এসব ঘটনা প্রকাশ পায়নি। তার প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে বারবার ঘটনাগুলো ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন কেউ কেউ।
উপ-পরিচালক ডা. ওয়াদুদ বলেন, “দেড় লাখ টাকার মতো চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। তারা তদন্ত করছে।” তবে বিষয়টি নিয়ে তার নীরবতা এবং সময়ক্ষেপণ নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন।
হাসপাতালের অনেকে চুরির ঘটনাকে ‘রহস্যাবৃত’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলছেন, হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরতদের বক্তব্যে অসংগতি রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে দেখছে আদৌ শুধু দেড় লাখ নাকি আরও বেশি অর্থ তছরুপ হয়েছে।
চুরির ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
শিহাব