
ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যা প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। এই সড়কটি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার মধ্যে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এর সংকীর্ণতা, বিপজ্জনক বাঁক এবং অবৈধ যানবাহনের দাপটে প্রতিদিনই ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা। গত সপ্তাহে শুধুমাত্র লোহাগারা এলাকায় একাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যা এই সড়কের ভয়াবহ অবস্থাকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এসব দুর্ঘটনার জন্য মূলত চালকদের বেপরোয়া গতি, লবণবাহী ট্রাকের পানি ফেলা এবং অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলারের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলকে দায়ী করছেন।
হাইওয়ে পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত তিন মাসে এই সড়কে ৫৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৪০ জন নিহত এবং ৭৩ জন আহত হয়েছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম অংশে ৩৭টি দুর্ঘটনায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রাস্তার অপর্যাপ্ত প্রশস্ততা, বিপজ্জনক বাঁক এবং যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ এই দুর্ঘটনাগুলোর মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করা ছাড়া এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়, কারণ বর্তমানে বড় গাড়িগুলো পার্শ্ববর্তী গাড়িকে জায়গা দিতে না পারায় সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠছে।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা সড়কটি দ্রুত ৬ লেনে উন্নীত করা, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলো পুনর্নির্মাণ এবং অটোরিকশা ও থ্রি-হুইলারের চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি জোরদার করা এবং চালকদের সচেতনতা বৃদ্ধি করলে দুর্ঘটনা কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
তবে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এই মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
সূত্র:https://youtube.com/shorts/cHteX8AW1G8?si=6Vyixitjeum31EOP
আঁখি