
নগরীর ফুসফুসখ্যাত সিআরবিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব রাখতে রেলওয়ের উদ্যোগে পরিচালিত হয়েছে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান।
চট্টগ্রামের প্রাচীনতম স্থাপনার ঐতিহাসিক ও সংরক্ষিত এলাকা সিআরবি (সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং)। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভবনটি বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চলীয়) মহাব্যবস্থাপকের নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়।
তবে স্থানীয়রা এখানে আসেন ধুলাবালি মুক্ত পরিবেশ ছায়াঘেরা বসার জায়গা নির্মল বাতাস উপভোগ করার জন্য।
নগরবাসীর প্রিয় এই স্থানটিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল।
এ উপলক্ষে শনিবার (আজ) সকাল ৮টায় সরেজমিনে পরিদর্শন করেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে সচেতনামূলক বক্তব্য রাখেন পরিদর্শনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা।
এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) শেখ সাকিল উদ্দিন আহমেদ, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার সুবক্তগীন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবু জাফর মিঞা, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ ইবনে সফি আব্দুল আহাদ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চীফ কমান্ডেন্ট মোঃ আশাবুল ইসলাম, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান, উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) ফেরদৌস আহমেদ,বিভাগীয় কর্মকর্তা তাহামিনা আক্তার, বিভাগীয় প্রকৌশলী -২ এস রিয়াসাদ ইসলাম, পাহাড়তলী রেলওয়ে কন্ট্রাকটরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শফিকুর রহমান স্বপন সদস্য সচিব মো. শাহ আলম , রেলওয়ে শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এম আর মঞ্জু, বিআরইএল কার্যকরী সভাপতি সেলিম পাটোয়ারী, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনায় সিআরবি এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা, আবর্জনা ব্যবস্থাপনা, বৃক্ষ সংরক্ষণ এবং সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার সুবক্তগীন বলেন, সিআরবি শুধু রেলওয়ের নয়, এটি চট্টগ্রামের প্রাণ ও ঐতিহ্যের অংশ। তাই এর পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে। আমাদের এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান নিয়মিত চলবে।
অভিযান শেষে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খিচুড়ি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
কানন