ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

ছুটির দিনে সোনারগাঁয়ে দর্শনার্থী-পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়

শাহ জালাল, সোনারগাঁও সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ৪ এপ্রিল ২০২৫

ছুটির দিনে সোনারগাঁয়ে দর্শনার্থী-পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়

ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘ ৯ দিনের ঈদুল ফিতরের ছুটি উপলক্ষে আনন্দ উপভোগ করতে ৫ম দিনেও প্রাচীন বাংলার রাজধানী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

সোনারগাঁ ঢাকার নিকটে হওয়ায় ভ্রমণে এসে মনোরম পরিবেশে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা। নারী-পুরুষ ও ছোট-বড় ছেলে-মেয়ে বিশেষ করে যুবক-যুবতীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

ঈদের ছুটিতে বিনোদন প্রেমীরা খোঁজে সোনারগাঁ জাদুঘর, বাংলার তাজমহল ও পানাম সিটি মায়াদ্বীপসহ সোনারগাঁয়ের প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

বিশেষ করে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে সোনারগাঁ জাদুঘর প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

এদিকে, জাদুঘরসহ কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের চাপে বিনোদন কেন্দ্রের আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট উপেক্ষা করেও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল দৃষ্টিনন্দন। যানজটে গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে সবাই বিনোদন কেন্দ্রে ছোটেন।

পরিবার-পরিজন নিয়ে নির্মল প্রকৃতির সঙ্গে কিছু সময় আনন্দে কাটিয়ে খুশি আগত দর্শনার্থীরা। সোনারগাঁ জাদুঘর, বাংলার তাজমহল ও পানাম সিটি ছাড়াও সোনারগাঁয়ের গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের মাজার, লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম, জ্যোতিবসুর বাড়ি, কাইক্কারটেক ব্রিজ, অলিপুরা ব্রিজ এবং মেঘনা নদীর বৈদ্যেরবাজার ঘাটে মায়াদ্বীপে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর আগমন ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশের এলাকায় তেমন কোনো বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় সোনারগাঁর কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্রে ছিল উপচেপড়া ভিড়।

ঢাকা বনশ্রী থেকে ঘুরতে আসা ইমন মিয়া বলেন, "রাজধানী ঢাকার খুব কাছে হওয়ায় ঈদের ছুটিতে পরিবারের সাথে উপভোগ করতে ঐতিহ্যের বাহক সোনারগাঁয়ে ঘুরতে এসেছি। মুঘল আমলের প্রাচীন নিদর্শনের অসংখ্য নিদর্শন রয়েছে এখানে। এখানে ঘুরতে এসে আমাদের খুবই ভালো লাগছে।"

কুমিল্লা থেকে আসা মহসিন জানান, "ঈদুল ফিতরের ঈদ আনন্দ পরিবারের সবাইকে নিয়ে সোনারগাঁয়ে জাদুঘরে ঘুরে আনন্দ উপভোগ করি। প্রাচীন বাংলার হারিয়ে যাওয়া নিদর্শনগুলো দেখে পরিবারের সবাই মনমুগ্ধ হই।"

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের (সোনারগাঁ জাদুঘর) উপ-পরিচালক একেএম আজাদ সরকার জনকণ্ঠকে জানান, "এবার আশানুরূপ দর্শনার্থীদের সমাগম হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ হাজার-হাজার দর্শনার্থী জাদুঘরের আদিরূপ উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছে।"

পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য এখানে পর্যাপ্ত আনসার, পুলিশ এবং টুরিস্ট পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান জানান, "সোনারগাঁয়ে বেশকিছু পর্যটন কেন্দ্র থাকায় পর্যটকের সমাগম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা সোনারগাঁয়ে দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি থানা পুলিশের মাধ্যমে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে।"
 

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×