
ছবি: সংগৃহীত
খাল আটকে চট্টগ্রামের পটিয়ায় একটি কালভার্ট নির্মাণ করার অভিযোগ ওঠেছে। পানির অভাবে বোরো চাষাবাদে ব্যাঘাত হওয়ায় এলাকার কৃষকরা চরমভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়কের পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের এবাদতখানা এলাকায় সার্জেন্ট মহি আলম খাল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) অর্থায়নে একটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে। খালটি বন্ধ থাকায় উপজেলার উজিরপুর ও ঊনাইনপুরায় সেচের পানির অভাবে ফসলি জমি যেন শুকিয়ে যেতে চলেছে। অন্যদিকে, এ খালের পানি চলাচল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবহৃত পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। অভিযোগ ওঠেছে, সওজের ঠিকাদার নিজ উদ্যোগে খালের পানি চলাচল বন্ধ করে রেখেছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের এবাদতখানা এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ চলছে। কালভার্টের পূর্ব পাশে রয়েছে সার্জেন্ট মহি আলম খাল।
এ খালের পানি নিয়ে ওই এলাকার শতশত কৃষক বিভিন্ন মওসুমে চাষাবাদ করে থাকেন। চলতি মওসুমে খাল বন্ধ করে রাখায় এলাকার কৃষকরা পড়েছেন বেকায়দায়। ইতোমধ্যে কৃষক ছাড়াও স্থানীয় লোকজন এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে স্থানীয় কিছু লোক ঠিকাদারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় খাল খুলে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠেছে।
তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইলিয়াস জানিয়েছেন, সওজের অর্থায়নে এক প্যাকেজে ৮টি কালভার্টের কাজ তারা পেয়েছে। এর মধ্যে পটিয়ার এবাদতখানা ১টি ও পটিয়ার মনসা বাদামতল এলাকায় একটি রয়েছে। নির্মাণাধীন কালভার্টের পূর্ব পাশে রয়েছে জোয়ার-ভাটার সার্জেন্ট মহি আলম খাল। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে খালের পানি আটকালেও পরবর্তীতে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ তাদের কাজ করতে গিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। খালের পানি চলাচল বন্ধ থাকায় ফুলকলি ফ্যাক্টরীর ব্যবহৃত পানি সরানোর চেষ্টা করলেও কিছু লোক বাঁধা দেন। এ কারণে তা আর হয়নি।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান জানান, উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নে সার্জেন্ট মহি আলম খাল বন্ধ করে রাখার বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে অবিলম্বে খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানান, সার্জেন্ট মহি আলম খাল আটকে কৃষকের চাষাবাদে বিঘ্ন সৃষ্টি করার বিষয়টি তিনি ইতোমধ্যে জেনেছেন। তিনিসহ সরেজমনি গিয়ে দ্রুত সমাধান করবেন বলে জানান।
আসিফ