
মা ও শিশু কল্যাণ সেবা কেন্দ্রগুলোতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা মিলেছে
ঈদের ছুটিতেও নাটোরে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন মা ও শিশু কল্যাণ সেবা কেন্দ্রগুলোতে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা মিলেছে। ঈদের ছুটিকালীন যখন অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা পেতে বিড়ম্বনার শেষ নেই, তখন নাটোরে পরিবার পরিকল্পনার সেবা কেন্দ্র থেকে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পেয়েছেন নারীরা।
ঈদের ছুটিতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক সংকটসহ নানা কারণে আশানুরূপ“ সেবা না মিললেও পরিবার পরিকল্পনার সেবা কেন্দ্র থেকে জরুরি সেবার আওতাধীন বিনামূল্যে গর্ভকালীন সেবা, প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা, শিশু সেবা, কৈশোর কালীন কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসেবাসহ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়েছে। গত ২৮ মার্চ থেকে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নারীদের এই জরুরি সেবা প্রদান অব্যাহত রাখা হয়েছে। সংকটকালে এমন জরুরি সেবা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সেবা গ্রহীতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নাটোর পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আনোয়ারুল আজিমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে গত ২৮ মার্চ থেকে চলাকালীন সরকারি ছুটিতেও নাটোরে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নারীদের জরুরি সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।
গত ২৮ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জেলার ৫৪টি সেবা কেন্দ্রে ১৬২টি জনকে গর্ভবতী নারীকে গর্ভকালীন সেবা, ১৪ জনকে স্বাভাবিক প্রসব করানো, ৬৯ জনকে প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩৮৪ জন শিশু, ১৩১ জন কিশোর-কিশোরীসহ ৬৫১ জন সাধারণ রোগীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা নিতে আসা জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার ভিটা কাজীপুর গ্রামের প্রসূতিরোগী ফাতেমা খাতুনের স্বামী মুনসুর রহমান জানান, ঈদের পরের দিনই প্রসব সমস্যা নিয়ে আমার স্ত্রী ও শ্যালিকা মিমকে নাটোরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখানকার সেবা পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। অন্যান্য কিøনিকের চেয়েও ভালো পরিবেশে সেবা পেয়েছি। সদ্য ভূমিষ্ঠ দুই পুত্র সন্তান হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালক আনোয়ারুল আজিম জানান, ঈদের ছুটিতে যেন স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত না হয়, সেদিকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে গেছেন তারা। জনকল্যাণে এই সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।