
ছবি : সংগৃহীত
এক সময় ভারতের কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি ও ব্যাঙ্গালোর বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য চিকিৎসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশি রোগীরা জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ভিসা নিয়ে ভারতে যেতেন। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, ভারতের মোদী সরকার বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করে দেয়। এর ফলে ভারতে চিকিৎসাসেবা গ্রহণে বাংলাদেশিদের জন্য জটিলতা তৈরি হয়।
এই প্রেক্ষাপটে, বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় চীন। কয়েকটি চীনা হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসায় অগ্রাধিকার দেয়ার ঘোষণা দেয়। ১০ মার্চ প্রথম দল হিসেবে বাংলাদেশ থেকে রোগীরা চীনে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ বাংলাদেশের রোগীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের পর। তারা বলছেন, জটিল রোগের ক্ষেত্রে বিদেশ নির্ভরতা বাস্তবতা হলেও, দেশের মধ্যেই চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ অতিরিক্ত বিদেশ নির্ভরতা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল নির্মাণে চীনের বিনিয়োগ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে শুধু চিকিৎসা নয়, কর্মসংস্থান ও দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগও তৈরি হবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইদুর রহমান জানান, সরকার বিকল্প দেশ নয়, বরং বাংলাদেশেই উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, “যে চিকিৎসার জন্য আমরা বিদেশে যাই, সেগুলোর সুবিধা দেশেই প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে, তবে দিকনির্দেশনা আমরা পরিবর্তন করছি।”
চীন ইতিমধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে, যার মধ্যে ১৫০ মিলিয়ন থাকবে কারিগরি সহায়তায় এবং ১০০ মিলিয়ন বরাদ্দ থাকবে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশেই যদি উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, তাহলে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমবে এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে।
সূত্র:https://youtu.be/-1_5J5Ud-L0?si=bTMwivfWllsA_-X9
আঁখি