ছবি: জনকণ্ঠ
পার্বত্যাঞ্চলের বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহুকে সামনে রেখে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় ৭ দিন ব্যাপী বিজু মেলা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে মেলার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা।
উদ্বোধনের পর শুরু হয়েছে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা। সভায় রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা বলেন, এই উৎসব পাহাড়ের জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব। এই উৎসবের মাধ্যমে পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে আমাদের সকলের সুখ, শান্তি ও মঙ্গল কামনা করি। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ বলেন, বিজু উৎসবের মাধ্যমে এদেশে বহু জাতি বহু সংস্কৃতিতে আমরা দেশ ও সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারবো। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় উৎসব মুখর পরিবেশে এই উৎসব পালিত হবে।
সভাপতি ভাষণে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, এই বিজু মেলার মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকে জাতির কাছে তুলে ধরা। আমাদের সংস্কৃতি যত উন্নত হবে, তত আমরা এগিয়ে যাবো। আলোচনা সভা শেষে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, পাংখোয়াসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর শিল্পীদের নিয়ে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করা হয়। মেলাটি আজ ৩ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এবারে মেলায় পাহাড়িদের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পোশাক, খাবার ও অলংকার নিয়ে মোট ১৮০টি স্টল সাজানো হয়েছে।
পাহাড়ের প্রধান আকর্ষণ বিজু উৎসব আগামী ১২ থেকে ১৪ এপ্রিল শুরু হবে এর আনুষ্ঠানিকতা। এই তিন দিন ব্যাপী শুরু হতে যাওয়া উৎসবকে ঘিরে তিন পার্বত্য জেলায় পাড়ায়-মহল্লায় উৎসবের আমেজ বইছে। এই উৎসব পাহাড়ে বেশ ঘটা করে পালিত হয়।
এম.কে.
