বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা, ভাঙা বাঁধ চারদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি

আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ চারদিনেও  নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ইতোমধ্যে ভাঙন এলাকার দূরে জিও রোল দিয়ে বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রায় ১৫শ’ ফুট দীর্ঘ বিকল্প রিংবাঁধের নির্মাণ কাজ জিও রোল বসিয়ে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত  ভাঙন এলাকার অর্ধেক অংশে জিও রোল বসানো সম্ভব হয়েছে।

শুক্রবার এ রিংবাঁধের কাজ শেষ হলে পানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন এলাকাবাসী। ভাঙন এলাকার পরিস্থিতির ভয়াবহতায় দ্রুত বাঁধ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি সর্বক্ষণিক মনিটর করছেন বলে বৃহষ্পতিবার বিকালে জানিয়েছেন এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস। জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, এখানকার ভাঙন খুবই ভয়াবহ। দ্রুত মেরামত করতে না পারলে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে।

ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন  বের্ডের দুটি বিভাগকে সমন্বয় করে একসঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে।  আপাতত জিও রোল দিয়ে প্রটেকশন দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বাঁধ দ্রুত  সংস্কার করা না হলে আনুলিয়া  ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়াার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভাঙন এলাকায় বিকল্প রিংবাঁধ দেওয়ার কাজ শুরু করা হলেও বিকাল পর্যন্ত অর্ধেক অংশের কাজ শেষ হয়েছে।