অশ্লীলতার অভিযোগে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর দোলপূর্ণিমা মেলার দুটি পুতুল নাচের প্যান্ডেল অপসারণ করছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনজুরুল আলম এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় থানা ও রির্জাভ পুলিশ এবং গোপীনাথপুর দোলপূর্ণিমা মেলা কমিটি এই অভিযান পরিচালনায় সহযোগীতা করে। অভিযানের সময় দুটি পুতুল নাচের আয়োজকেরা সটকে পড়েন। পুতুল নাচের নামে ওই দুটি প্যান্ডেলে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
এই মেলাটি পাঁচশ বছরের পুরাতন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। প্রতি বছর দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর দেবোত্তর সম্পত্তিতে এ মেলা বসে। অনেক আগে এ মেলার মেয়াদ ছিল মাসব্যাপী। কালের পরিক্রমায় এখন এ মেলার মেয়াদ তের দিন। এবারও দোলপূর্ণিমায় মেলা বসেছিল। রীতি অনুযায়ী ১৩ দিনের দোলপূর্ণিমা মেলা গত ২৭ মার্চ শেষ হয়েছে। বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে মেলায় যাত্রা-সার্কাস বন্ধ ছিল। এবার মেলার সময় আট দিন সময় বর্ধিত করা হয়েছে। একটি যাত্রাপালার অনুমতিও দিয়েছে প্রশাসন।
জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গোপীনাথপুর দেবোত্তর এস্টেটের সেবাইত শ্রী রনেন্দ্র কৃষ্ণ প্রিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে ঈদের পরদিন থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মেলার সময় বৃদ্ধি করা হয়। গোপীনাথপুর প্রশিক্ষিত যুব সমবায় সমিতি লিমিটেডের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেলা বর্ধিত সময় পর্যন্ত চৈতালী অপেরার যাত্রা পালার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে মেলায় কোন পুতুল নাচের অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত মেলায় দুটি পুতুল নাচের প্যান্ডেল করা হয়।
মঙ্গলবার থেকে ওই দুটি পুতুল নাচের প্যান্ডেলে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনজুরুল আলম মেলায় ছুটে আসেন। তিনি পুলিশের সহযোগীতায় দুটি পুতুল নাচের প্যান্ডেল অপসারণ করেন।
ইউএনও মনজুরুল আলম বলেন, দোলপূর্ণিমা মেলায় শর্তসাপেক্ষে একটি যাত্রাপালা পরিচালনার অনুমতি রয়েছে। পুতুল নাচের কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। কথিত পুতুল নাচের নামে অশ্লীলতা চলছিল। এমন ভিডিও ও পাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেলা কমিটিকে সঙ্গে নিয়ে পুতুল নাচের প্যান্ডেল বেড়া অপসারণ করেছি। দুটি পুতুল নাচের প্যান্ডেল বন্ধ করে দিয়েছি।
সজিব
