
ছবিঃ প্রতীকী অর্থে
রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ এপ্রিল) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যূ হয়। নিহতের নাম নেকশার আলী (৩৫)।
নিহত নেকশার আলী তানোরের রাতৈল গ্রামের বাসিন্দা এবং তানোরের চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিনের অনুসারী ছিলেন ।
গত ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় মফিজ উদ্দিনের অনুসারীদের সঙ্গে ইউনিয়ন বিএনপির বর্তমান সভাপতি আজাদ আলীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মফিজের পক্ষের ছয়জন ও আজাদের পক্ষের নয়জন আহত হয়েছিলেন।
সেদিন মফিজের অনুসারীরা রাতৈল বাজারে মুদি দোকানী দুরুল হুদার দোকানে হামলা চালান। লুটপাট ও ভাঙচুর চালানো হয় দোকানে। দুরুল হুদা ও তার ছেলে মিনু আহত হয়েছিলেন। এছাড়া আজাদের অনুসারী ইউনিয়ন বিএনপির মো. রনিও আহত হয়েছিলেন।
পরের দিন রনি বলেছিলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মফিজ উদ্দিন তার বাড়িতে ইফতারের আয়োজন করেন। এতে অংশ নেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন। এই ইফতার অনুষ্ঠানের জন্য মুদি দোকানী দুরুলের কাছে চাঁদা চেয়েছিলেন মফিজ। চাঁদা না দেওয়ার কারণে ইফতারের পর তার দোকানে হামলা হয়। এ সময় তারা বাধা দিতে গেলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা না। বিএমডিএর ডিপ নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। তিনি বলেন, আমার বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরের ঘটনা। আমি ওই এলাকায় দুই বছর ধরে যাইনি। আমার কোনো লোকও মারামারিতে যায়নি।’
তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘মারামারির ঘটনার পর দু'পক্ষই থানায় দুটি মামলা করেছিল। এক পক্ষের একজন আজ বিকেলে মারা গেছে। আগে করা মারামারির মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিদেরও গ্রেফতার করা হবে।
ইমরান