
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ আহত ঐ শিশুকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্হানীয় সুত্র ও ভুক্তভোগীর পরিবার সুত্রে জানাযায় নামা মহিষতারা গ্রামের মন্নেছ আলীর পুত্র মো. দুলাল তার পাশের বাড়ির ৯ বছর বয়সী শিশু মেয়ে মহিষতারা আহাম্মদিয়া এতিমখানার মাদরাসার নূরানীর ছাত্রীকে ঈদের দিন বিকালে নিজের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যাবার কথা বলে নিজের শিশু মেয়েকে দিয়ে ফুসলিয়ে ডেকে নেয়। পরে নিজের মেয়েকে সহ ওই শিশুকে নিয়ে ঈদের দিন(সোমবার) বিকালে বটতলা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে যায়।
পরে নিজের মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে রেখে ওই শিশুকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মঙ্গলবার সকালে ওই শিশুকে একটি ভ্যানে করে অসুস্থ অবস্থায় তার বাড়িতে পৌছে দেয়। দুলাল তাকে রাতভর ধর্ষণ করেছে বলে অসুস্থ শিশুটি তার পরিবারকে জানায়।
এসময় পরিবারের লোকজন দুলালকে আটক করতে গেলে স্থানীয় মজিদ দুলালকে পালাতে সাহায্য করে। পরে পুলিশ গিয়ে ধর্ষিতা ঐ শিশুকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। অভিযুক্ত দুলাল পালিয়ে যায়।
পড়ে উত্তেজিত গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে ধর্ষকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে এক পর্যায়ে জনতা ধর্ষকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে আব্দুল মজিদকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা মজিদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এসময় মজিদেরর বাড়ি ও তার ভাই আতিকের দোকানে ভাংচুর করে। পুলিশ আসামী পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগে মজিদকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নামামহিষতারা গ্রামে। অভিযুক্ত ধর্ষকের নাম মো. দুলাল(৩০)।
ভুক্তভোগীর বড় বোন জানান, ‘দুলাল ঈদের দিন বিকালে তার নিজের মেয়েকেসহ ভিকটিম শিশুটিকে নিয়ে তার শ্বশুর বাড়ি বটতলায় যায়। পরে সারারাত আমরা আমাদের বোনের কোন সন্ধান পাইনি।
মঙ্গলবার সকালে দুলাল আমার বোনকে নিয়ে আসে। তখন আমরা দেখি আমাদের বোন খুবই অসুস্থ। পরে সে জানায় দুলাল তাকে ধর্ষণ করে। এসময় আমার ভাইয়েরা দুলালকে ধরতে গেলে আতিক আর মজিদ দুলালকে সরিয়ে দেয়। বিষয়টি দেখছি বলে মজিদ আমার ভাইদের উল্টো সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মজিদকে ধরে নিয়ে যায়।’
মুক্তাগাছা থানার ওসি (তদন্ত) রিপন চন্দ্র গোপ জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছে মূল অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় মজিদ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিম শিশুটিকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মূল অভিযুক্ত দুলাল পালিয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
আফরোজা