
ছবিঃ প্রথম ছবির ধর্ষক রায়হান, দ্বিতীয় ছবি ভুক্তভোগী তরুণী শাহনাজ
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনের পরেও সফল না হয়ে ধর্ষণ মামলা করেছেন প্রেমিকা।
গতকাল ৩১ মার্চ (সোমবার) ঈদের দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুড়িয়া ইউনিয়নের ভান্ডারীকাঠী গ্রামে প্রেমিক রায়হানের বাড়ি বিয়ের দাবিতে এক তরুণী অনশন শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রেমিক রায়হান বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে গভীর রাতে ওই তরুণীকে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। অনশনে কোন ফল না আসায় পরে রায়হানের বিরুদ্ধে ওই তরুণী ধর্ষণ মামলা করেন। যাহার মামলা নাম্বার-১। ওই মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন ধর্ষক রায়হানের পিতা-হাকিম হাওলাদার, রায়হানের মা নাছিমা বেগম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত দুই বছর আগে প্রেমিক রায়হানের সাথে রং নাম্বারে পরিচয় হয় প্রেমিকা শাহানাজের। এরপর প্রেম এবং সেখান থেকে হয় শারীরিক সম্পর্ক।
গত (৩০ মার্চ) চাঁদরাতে বিয়ের কথা বলে রায়হান প্রেমিকা শাহানাজকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। রায়হানের বাবা-মা প্রথমে সম্পর্ক মেনে নিয়ে দুইজনকে একই কক্ষে থাকতে দেন তখন রায়হান তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। এর আগেও একাধিকবার রায়হান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীর সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই নারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে আসামি পলাতক রয়েছে। ওই নারীকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইমরান