ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

মুকসুদপুরে ড্রাগনচাষে এবছরেই খরচ তুলে লাভের প্রত্যাশা করছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

শরিফুল রোমান, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ১ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৯:৪২, ১ এপ্রিল ২০২৫

মুকসুদপুরে ড্রাগনচাষে এবছরেই খরচ তুলে লাভের প্রত্যাশা করছেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

ছবিঃ সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম পান্নু। ৫ বছর আগে কলেজ থেকে অবসর নিয়েছেন। অবসর নেওয়ার পর কী করবেন তাই নিয়ে পড়েন দুশ্চিন্তায়। পরে পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে ড্রাগন ফলের চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন। ইউটিউব দেখে বাড়ির পাশে আড়াই বিঘা অনাবাদি জমিতে শুরু করেন ড্রাগন ফলের বাগান। এবছরেই খরচ তুলে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা লাভের প্রত্যাশা করছেন তিনি। 

জানা গেছে, মাত্র ১৬ মাসে বাগানে ড্রাগন ফল ধরতে শুরু করে। সে বছর তিনি ৩০ হাজার টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেন। 

আড়াই বিঘা জমিতে দুই ফিট বাই দুই ফিট ফাঁকা রেখে ৮০০ পিলারের প্রতিতে ৪-৫টি করে ৪ হাজরেরও বেশি হলুদ, লাল, সাদা, গোলাপি ও জাম রংয়ের ড্রাগন ফলের গাছ রোপণ করেন তিনি। এতে তার সব মিলে খরচ হয় ১৭ লাখ টাকা। চলতি বছরের মে থেকে ফল বিক্রি শুরু হবে। প্রকারভেদে ২'শ থেকে ২শ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যাবে। 

ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, প্রোটিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি সহ নানা পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই কৃষি অফিসের প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে চাষিদের ড্রাগন ফল চাষাবাদের আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তরা।

অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, অবসর নেওয়ার পর সেই সময়টা কিভাবে কাটাব তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। সে সময় পরিবারের সদস্যরা আমাকে ড্রাগন ফলের বাগান করার কথা বলে। পরে কিছুদিন ইউটিউবে এ বিষয়ে কয়েকটি কন্টেন্ট দেখি। 

তিনি আরও বলেন, এ বছর কিছুটা লাভ হয়েছে। আগামী বছর থেকে আমার সম্পূর্ণ লাভ থাকবে। এছাড়া আমার এই বাগানে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। এটাও আমার কাছে ভালো লাগে।

ড্রাগন ফলের বাগানে কাজ করেন কৃষক মো. রমিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমি প্রথম থেকেই ড্রাগন বাগানে কাজ করি। এই টাকা দিয়েই আমার সংসার চলে। মাঝেমধ্যে বাগান থেকে ড্রাগন নিয়ে খাই। খুবই সুস্বাদু একটা ফল।

ড্রাগন বাগানে খণ্ডকালীন কাজ করা বাটিকামারী স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রাজু শেখ বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি স্যারের বাগানে মাঝেমধ্যে খণ্ডকালীন কাজ করি। আর এখানে কাজ করে যে টাকা পাই, তাতে আমার হাত খরচ চলে যাই।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ বাহাউদ্দীন সেখ বলেন, বিনিয়োগ বেশি লাগলেও ড্রাগন ফল চাষ করা লাভজনক। কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে ড্রাগন ফলের চাষাবাদ করার আহ্বান জানান তিনি।

ইমরান

×