
ছবি : জিয়াউল হক
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় গতকাল ৩১ মার্চ (সোমবার) ঈদের দিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গারুড়িয়া ইউনিয়নের ভান্ডারীকাঠী গ্রামে প্রেমিক রায়হানের বাড়িতয়ের দাবিতে এক তরুণী অনশন করেন। ওই তরুণির ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার নুরুল ইসলামের কন্যা শাহানাজ
গত দুই বছর আগে প্রেমিক রায়হানের সাথে রং নাম্বারে পরিচয় হয় প্রেমিকা শাহানাজের। এরপর প্রেম সেখান থেকে হয় শারীরিক সম্পর্ক।
গত (৩০ মার্চ) চাঁদরাতে বিয়ের কথা বলে রায়হান প্রেমিকা শাহানাজকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। রায়হানের বাবা-মা প্রথমে সম্পর্ক মেনে নিয়ে দুইজনকে একই কক্ষে থাকতে দেন। ২০ বছর বয়সি প্রেমিক রায়হানের চেয়ে শাহানাজ সাত বছরের বড় তাই পরের দিন সকালে রায়হানের পরিবার শাহানাজকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ওই তরুণীকে বাড়ি থেকে তারিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়। ওই রাতে এলাকার শত শত জনতা তরুণীকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমায়। এ সময় গভীর রাত পর্যন্ত ওই তরুণী স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে রায়হানের বাড়িতে অনশন করেন। পারিবারিক চাপে প্রেমিক রায়হান বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলে তরুণী কান্নায় ভেঙে পড়ে। ওই রাতেই বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
অনশনকারী শাহানাজ বলেন, রায়হানের সাথে আমার প্রায় ৩ বছরের সম্পর্ক। দুইদিন আগে সে আমাকে বিয়ের কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে আসছে। রায়হান এখন পলাতক রয়েছে। যদি রায়হান আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না দেয় তাহলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ নেই।
এই বিষয়ে জানতে চেয়ে রায়হানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে রায়হানের পরিবার বলেন, আমাদের ২০ বছরের ছেলে রায়হানের তুলনায় শাহানাজের সাত বছর বয়স বেশি। তাই শাহনাজকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেওয়া সম্ভব না।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, গভীর রাতে এক তরুনীকে থানায় আনা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিজস্ব সংবাদদাতা বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি।
আঁখি