
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রায় তিন যুগ পর একসাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পেরে বেজায় খুশি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার উত্তর নাঁকশী গ্রামবাসী।
গ্রামের প্রায় দুই হাজার মুসল্লি একসাথে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সবাই মতানৈক্য ভুলে এক হয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে অনুষ্ঠিত ওই ঈদের নামাজের জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. কবির হোসাইন আকন্দ।
গ্রামবাসীর সূত্র জানায়, প্রায় ৩৫ বছর ধরে গ্রামের মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে আলাদা আলাদা ঈদগাঁহে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন। এ বছর সংশ্লিষ্ট কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গ্রামবাসীর সহযোগিতা নিয়ে তিনটি ঈদগাঁহের মুসল্লিদের নিয়ে একত্রে উপজেলার উত্তর নাঁকশী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজ আদায় করার আয়োজন করেন। এ সময় অভিমান ক্ষোভ ভুলে গিয়ে গ্রামবাসীদের অংশগ্রহণ ও সমাগমে এক মিলনমেলায় পরিণত হয় ঈদগাঁহ মাঠ। একসাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে পেরে খুশি হন বৃদ্ধ তরুণ সবাই।
গ্রামবাসীরা জানান, বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন যাবত গ্রামের সব মানুষ একত্রে নামাজ আদায় করা হয়নি। এতোদিন গ্রামের মানুষ তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে ভিন্ন ভিন্ন ঈদগাঁহ মাঠে হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতেন। আজ দীর্ঘদিন পর একসাথে সবাই নামাজ পড়তে পেরে যেন মহা খুশি। এমন মহতী উদ্যোগ গ্রহন করায় চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা আরও বলেন, আমরা চাই এরকম সমন্বিত সুন্দর উদ্যোগ সমাজে অব্যাহত থাকুক।
ঈদগাঁহের খতিব মাওলানা মো. কবির হোসাইন বলেন, খতিবের বাইরে আমি নিজেও এই গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন যাবত এখানে গ্রামের মানুষ একত্রে ঈদগাঁহে জামাত হয়নি। এবার অনেক মুসল্লির সমাগম হয়েছে। সবাইকে নিয়ে নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে। এজন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কলসপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, সবার সহযোগিতায় ঈদের জামাতের আয়োজন করতে পেরে আমরা সবাই আনন্দিত। ভবিষ্যতে আরো ভালো আয়োজন করতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা চাই।
ইমরান