ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

তালতলীতে ঈদের মাঠে ইমামকে হত্যার চেষ্টা, চাপাতিসহ যুবক আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, তালতলী, বরগুনা

প্রকাশিত: ১৯:১৮, ৩১ মার্চ ২০২৫

তালতলীতে ঈদের মাঠে ইমামকে হত্যার চেষ্টা, চাপাতিসহ যুবক আটক

বরগুনার তালতলীতে ঈদুল ফিতরের নামাজের মাঠে ইমামকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণের চেষ্টা চালায় মাসুম (১৯) নামের এক যুবক। স্থানীয় মুসল্লিরা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের সিকদার বাড়ি মসজিদে ঈদের নামাজের সময় এই ঘটনা ঘটে। আটক মাসুম উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের আলীরবন্দর এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে।

জানা যায়, ঈদের নামাজ চলাকালে মাসুম দেশীয় অস্ত্র চাপাতি নিয়ে ইমামের দিকে ছুটে যায়। এ সময় স্থানীয় মুসল্লিরা দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তুলে তাকে আটক করে। পরে পুলিশ এসে মাসুমকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

মসজিদের সাবেক সেক্রেটারি মো. জাকির হোসেন জানান, "নামাজের দ্বিতীয় রাকাতের সময় হামলাকারী একটি কার্টুন থেকে আনুমানিক দুই ফুট লম্বা ছুরি বের করে। তখন আমি নামাজ ছেড়ে তাকে ঝাঁপটে ধরি। পরে মসজিদের মুসল্লিরা তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। শুনেছি, ইমামের সঙ্গে ওই যুবকের পূর্ব শত্রুতা ছিল।"

সিকদার বাড়ি মসজিদের ইমাম ইমরান হোসেন বলেন, "কেওড়া বুনিয়া মাদ্রাসায় পড়াকালীন সময়ে মাসুম আমার মোবাইল চুরি করেছিল। পরে আমি তাকে অপমান করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা চালায়।"

অন্যদিকে, হামলাকারী মাসুম জানায়, "আমার বন্ধু ইব্রাহিমের ছেলে ইমরান আগে একটি মসজিদে ইমামতি করত। গত বছর কোরবানির ঈদের সময় আমি কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেলে প্রেমিকাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে টাকা আনতে তাকে সেখানে রেখে আসি। এই সুযোগে ইমরান আমার প্রেমিকাকে অসম্মান করে। প্রেমিকা বিষয়টি না বললেও আমি তা জানতে পারি। এরপর ঘটনা জানাজানি হলে আমি এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে যাই এবং প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করি। পরে এক হাজার টাকা দিয়ে এই চাপাতিটি তৈরি করিয়ে কুরিয়ারে করে তালতলী নিয়ে আসি। ঈদের দিন ইমরানের ওপর আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিলাম। তবে স্থানীয় লোকজন দেখে আমাকে গণপিটুনি দেয়।"

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল জানান, "খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাসুমকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

আফরোজা

×