
ছবি : সংগৃহীত
বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা বন্দিশালার শিকল ভাঙ্গা ৩৬ দিনের ছাত্রজনতার আন্দোলনের শেষে, শেখ হাসিনার শাসনের প্রায় ১৬ বছরের অধিক সময়ের পর ২০০০ মানুষের আত্মত্যাগে স্বৈরাচার মুক্ত হয় দেশ। আওয়ামী লীগের শাসনামলে উদযাপিত ৩৪টি ঈদ, তবে এই ঈদগুলো শুধুমাত্র দুঃখগাথা হিসেবে ছিল ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের স্মৃতিতে।
গত ৩০টি ঈদে, বিএনপি নেতারা জানালেন, বিরোধী দলের কোনো নেতাকর্মীও শান্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি। তারা জানান, "আমি বছরের পর বছর আমার গ্রামের বাড়িতে যেতে পারি না, বাবা-মার কবর জিয়ারত করতে পারিনি। দীর্ঘদিন নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে ইসলামী দলের নেতাদেরও।"
বিগত দেড় দশকের ঈদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে তারা তুলে ধরেন যন্ত্রণার কথা। বন্দি অবস্থায় ঈদ যন্ত্রণার অতিরিক্ত একটি বেদনা নিয়ে হাজির হয়েছিল। "চারটি রোজার ঈদ, তিনটি কোরবানির ঈদ, মোট সাতটি ঈদ আমাকে কারাগারে অতিক্রম করতে হয়েছে," বললেন মামুনুল হক, আমির, বাংলাদেশ খেলাফাত মজলিস , আমাদের অনেকেই বাসায় পৌঁছাতে পারেননি, গ্রেপ্তার হয়েছে, রাস্তার উপর ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে।"
ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তির মধ্যে বিভেদ ভুলে, তাদের আহ্বান - সামনের দিনগুলোতে ঐক্যবদ্ধ থাকার তাগিদ। তারা দাবি করেন, "সকল রাজনৈতিক দলগুলো একটি কমন জায়গায় এসে দেশের জন্য কাজ করবে, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য।"
নেতারা সবার মধ্যে রাজনৈতিক উদারতার পরিচয় দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেন, "নতুন বাংলাদেশে কোন নাগরিক যেন বিগত দিনের মতো ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অধিকার হরণের শিকার না হয়, সে বিষয়ে সোচ্চার থাকতে হবে।"
সূত্র:https://youtu.be/-GVLh28UffE?si=Q1rVW2j1d5Zw-CbZ
আঁখি