
ছবিঃ প্রতীকী অর্থে
চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তরা একটি প্রাইভেট কারকে গতিরোধ করে ব্রাশফায়ারে দুই যুবককে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
প্রাইভেট কারে থাকা একজন ও নিহতদের স্বজনেরা দাবি করেছেন, সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) গভীর রাতে নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে চলন্ত প্রাইভেট কারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে একাধিক মোটর সাইকেলে থাকা সন্ত্রাসীরা। তখন কারটি বাকলিয়া এক্সেস রোড দিয়ে এসে চন্দনপুরায় প্রবেশমুখে থেমে যায়। সেখানে মোটর সাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার করে। এসময় দুজন নিহত হন। আহত হন আরও দুই জন।
নিহত দুজন হল- প্রাইভেট কারের মালিক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও চালক বখতেয়ার উদ্দিন মানিক।
নিহত আবদুল্লাহর মা ও স্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছে, কারাবন্দী ছোট সাজ্জাদ দুই মাস আগে আবদুল্লাহকে পায়ে গুলি করেছিল। সরোয়ার হোসেন বাবলার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় সাজ্জাদের রোষানলে পড়ে আবদুল্লাহ। প্রাইভেট কারে থাকা সরোয়ার ও আবদুল্লাহকে টার্গেট করা হয়েছিল।
অপর আরেকটি সূত্র জানায়, কর্ণফুলী নদীর বালুমহল নিয়ে বিরোধ এবং ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার জন্য এ ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। কারা জড়িত তা শনাক্ত পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে কেন এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- রবিন ও হৃদয়। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আহতরা সাংবাদিকদের বলেন, নতুন ব্রিজ থেকে তাদের কারটি বহদ্দারহাটের দিকে যাচ্ছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কয়েকটি মোটরসাইকেল অনুসরণ করছিল তাদের। এক পর্যায়ে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে মোটরসাইকেলে থাকা লোকেরা। কারের পেছনে বসা আবদুল্লাহ ভেতরেই গুলিবিদ্ধ হন এবং মানিকও গুলিবিদ্ধ হয়ে চন্দনপুরার প্রবেশমুখেই মারা যায়। প্রতিশোধ নিতেই মূলত সাজ্জাদের লোকেরা সরোয়ার ভাইসহ আমাদের সবার ওপর হামলা করেছে।
ইমরান