
ছবিঃ সংগৃহীত
ঈদুল ফিতরের আনন্দ উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে। যে কারণে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদী ও দুধল ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি নদীর ফেরি ও খেয়াঘাটে কয়েক গুণ যাত্রী বেড়েছে। আর এই ঈদকে কেন্দ্র করে খেয়াঘাটে ভাড়া আদায়ে ইজারাদারের বিরুদ্ধে নৈরাজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
বরিশাল জেলা পরিষদ থেকে ২০২৪ সালে গোমা খেয়াঘাট ইজারা দেয়া হয়। দুধল ইউনিয়নের গোমা গ্রামের খবির খানসহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে গত এক বছর ধরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয় বারবার জেলা পরিষদ কর্মকর্তাদের জানানো হলেও এ বিষয়টি তারা কর্ণপাত করেননি।
এছাড়াও এই ইজারাদারদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকা ঘুষের বিনিময়ে গোমা ফেরিঘাট ১৭ মাস ধরে খাস কালেকশন করে আসছে এই সংঘবদ্ধ প্রভাবশালী মহল।
সরকারিভাবে খেয়াঘাটে জনপ্রতি ৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা করে। রাত নামলে যাত্রীদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়। খেয়াঘাটে মোটরসাইকেল পারাপারে ২৫ টাকার নির্ধারিত থাকলেও সেখানে আদায় করা হয় ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এছাড়াও ফেরি পারাপারে অটোরিকশা, মাহিন্দ্রা, যাত্রীবাহী বাসে দ্বিগুণ ভাড়া নেয়া হচ্ছে। বিকল্প কোন উপায় না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই পারাপার হতে বাধ্য হচ্ছেন পরিবহন চালকসহ পথচারীরা।
বাকেরগঞ্জ, দুমকি, বাউফল তিন উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। প্রতিদিন গোমা ফেরি ও খেয়া পারাপার হতে গিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা না টানিয়ে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে ইজারাদার। ঈদযাত্রায় খেয়া ও ফেরি ঘাটে যাত্রীদের চাপ থাকায় এখন নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ইজারাদার খবির খানকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বরিশাল জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমতিয়াজ মাহমুদ জুয়েল বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরি ও খেয়া ঘাটের নৈরাজ্য বন্ধ করা হবে।
বরিশাল সড়ক (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইমরান