ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

বাউফলে ২০ গ্রামে কনেস্টবল পীরের অনুসারীদের আগাম ঈদ উদযাপন

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাউফল, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ৩০ মার্চ ২০২৫

বাউফলে ২০ গ্রামে কনেস্টবল পীরের অনুসারীদের আগাম ঈদ উদযাপন

 

 বাউফলেরর ১৪টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মুসলমান  সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করেছেন। এরা সবাই কনেস্টবল পীরের অনুসারী। 

আজ রবিবার(৩০ মার্চ)সকাল ৯টায় উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের উত্তর চান্দ্রপাড়া জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে খুতবা দেন জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মো. রাসেল।

প্রতি বছরের মতো এবারও জাহাগিরিয়া শাহসুফী মমতাজিয়া দরবার শরিফ, এলাহাবাদ, চন্দনাইশ, চট্টগ্রামের অনুসারীরা এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদ পালন করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পশ্চিম এলাহাবাদ শাহ্ মমতাজিয়া দরবারের বর্তমান পীর হযরত মাওলানা আলহাজ্জ মোহাম্মদ আলী। পাকিস্তান শাসনামলে বাকেরগঞ্জের সুন্দরকাঠী গ্রামের তাজউদ্দিন আহমেদ নামের এক ব্যক্তি বাউফল থানায় কনষ্টেবল পদে চাকুরি করতেন। তিনিই এই এলাকায় প্রথম মমতাজিয়া দরবারের খাদেম হিসেবে কাজ শুরু করেন। 

এক পর্যায়ে তাজউদ্দিন আহমেদ কনষ্টেবল পীর হিসেবে পরিচিতি পান। 

এরপর থেকে কনষ্টেবল পীরের অনুসারিরা বাউফলের বিভিন্ন গ্রামে সৌদি আরবের সাথে সময়ের মিল রেখে রোজ রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন। 

জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা মো. রাসেল বলেন, সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজকে আমরা ঈদ পালন করলাম ।এটা অনেক আগ থেকে আমরা পালন করে আসছি ।বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এরকম ঈদ পালন করে থাকে ।কোরআন হাদিসে রয়েছে বিশ্বের যেকোনো জায়গাতে চাঁদ দেখা গেলে সেই চাঁদের সংবাদ যদি কোনো মুসলিম ব্যাক্তি জানতে পারে এবং অন্য কোনো মুসলিমকে ব্যাক্তিকে পৌঁছে দেয় ও তারা যদি নিশ্চিত হয়ে থাকে এই সংবাদটি সঠিক তাহলে ওই এলাকাবাসী উপরে বা ওই মহল্লার উপরে রোজা ও ঈদ পালন ফরজ হয়ে থাকে ।

এছাড়া উপজেলার শাপলাখালী নতুন,শাপালাখালী,রাজানগর,শাবুপুরা,দাউরাভাঙ্গা,সুর্দী,দ্বীপাশা,কায়না,মদনপুরা,চন্দ্রপাড়া,তাঁতেরকাঠি,কনকদিয়া ,কালাইয়া আদর্শগ্রাম গ্রামের মানুষও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ উদযাপন করেছেন।
 

কানন

×