ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সোনারগাঁয়ে ২৩ গ্রামে ঈদ উল ফিতর উদযাপন

শাহ জালাল, সোনারগাঁও সংবাদদাতা নারায়ণগঞ্জ

প্রকাশিত: ১২:০৩, ৩০ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১২:০৫, ৩০ মার্চ ২০২৫

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সোনারগাঁয়ে ২৩ গ্রামে ঈদ উল ফিতর উদযাপন

সৌদির সঙ্গে মিল রেখে সোনারগাঁয়ে ২৩ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন

 

 সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ২৩ গ্রামের ধর্মপ্রাণ আহলে হাদীসের অনুসারিরা ঈদ উদযাপন করেন।

 প্রায় ১০ বছর ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে তারাবির নামাজ পড়ে রোজা শুরু করেন তারা। 

রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা ৩০টা মিনিটে উপজেলার ২৩টি গ্রামের মসজিদে একযোগে পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করেন।

জানা যায়, উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের বাংলাবাজার, গিরদান,সাদিপুর ইউনিয়নের গণকবাড়ী, পশ্চিম গজারিয়াপাড়া, রতন মার্কেট, হলদাবাড়ি, দক্ষিণ গজারিয়াপাড়া, কোনাবাড়ি উত্তরপাড়া, কোনাবাড়ি, লস্করবাড়ি দক্ষিণপাড়া, গণকবাড়ি দক্ষিণপাড়া, কোনাবাড়ি পশ্চিম পাড়া, হাতুরাপাড়া, সাদিপুর বড় বাড়ি, পূর্ব গজারিয়াপাড়া, বারদী ইউনিয়নে চান্দেরপাড়া, জামপুর ইউনিয়নে আমগাঁও, বাসাবো, মুছারচর মধ্যপাড়া, বস্তল মধ্যপাড়া, শামপুর কলতাপাড়া গ্রামে ঈদুল ফিতর পালন করা হয়।

জানা গেছে, তারা হযরত হানাফি (রা.) মাজহাবের জাহাগিরিয়া তরিকার অনুসারী। গত ১০ বছর আগে থেকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে সে অনুযায়ী রোজা ও ঈদ পালন করে আসছেন।
গিরদান মসজিদের ইমাম মাওলানা ওমর ফারুক জানান, কোন দেশকে অনসরণ করে নয়, সহি হাদিসকে মেনে একদিন আগে ঈদুল ফিতর উৎযাপন করছি। আমরা এই নিয়মে গত ১০বছর যাবৎ ঈদুল ফিতর ও আযহা উদযাপন করছি।
গিরদান মসজিদ কমিটির সভাপতি খন্দকার রিয়াজউদ্দিন বলেন, আমরা গিরদান মসজিদ নির্মানের পর থেকে এ মসজিদে সৌদির সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদের নামাজ আদায় করছি। যেহেতু আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে একটি চাঁদ ও একটি সূর্য সৃষ্টি করেছেন তাই আমরা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে সে অনুযায়ী ঈদ পালন করে থাকি।
বেফাকুল আঞ্চলিক বোর্ডের সোনারগাঁ শাখার সহসভাপতি মাওলানা মুফতি কামাল হোসেন বলেন, নবী করিম (স:) বলেছেন তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখো ও চাঁদ দেখে রোজা ভাঙ্গো। সেক্ষেত্রে আহলে হাদীসের অনুসারীরা একটি ফরজ রোজা ভঙ্গ করছে। এটা শরিয়তের খেলাপ করা হচ্ছে।

×