
ছবি: সংগৃহীত।
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার ১৩টি গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ রবিবার (৩০ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রভাষক মাহিদুল হক জানান, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল রবিবার (৩০ মার্চ) ঈদুল ফিতরের নামাজ ফরিদপুরের দুই উপজেলার ১৩ গ্রামের বাসিন্দারা পড়বেন।
বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরি সহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি, গঙ্গানন্দপুর এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার ইছাপাশা ও শুকুরহাটাসহ ১৩টি গ্রামের আংশিক মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশে উদযাপনের একদিন আগে পবিত্র রোজা ও ঈদ উৎসব পালন করেন। তাই এসব এলাকার লোকজন অন্য এলাকার চেয়ে একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।
রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ১০টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে জামায়াত শেষ হবে। তবে যারা সহস্রাইল দায়রা শরীফে নামাজ পড়তে যাবেন, তাদের জন্য মসজিদ কমিটি খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। সহস্রাইল দায়রা শরীফে নামাজে ইমামতি করবেন ধলেরচর দরবার শরীফের পীর সাহেব মুফতি মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান।
সহস্রাইল দায়রা শরীফে নামাজ আদায়কারী আলফাডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও বোয়ালমারীর কাটাগড় গ্রামের বাসিন্দা মো. মাহিদুল হক জানান, বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ও রুপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সহস্রাইল, দরিসহস্রাইল, মাইটকোমড়া, রাখালতলি, গঙ্গানন্দপুরসহ ১০ গ্রামের আংশিক এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিন গ্রামসহ মোট ১৩ গ্রামের লোকজন চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের অনুসারীরা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও রবিবার ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, এসব গ্রামে একদিন আগে যারা ঈদ উৎসব উদযাপন করেন, তারা সবাই চট্টগ্রামের মির্জাখিল শরিফের মুরিদান। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে আসছে।
নুসরাত